এদিকে ঘটনার পরে থেকে পলাতক রয়েছেন অভিযুক্ত ওই শিক্ষক। তিনি স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় শিক্ষকতা ও ওই এলাকার একটি মসজিদে ইমামতি করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত ওই শিক্ষক ভুক্তভোগী ওই শিশুটিকে পড়াতেন। অভিযুক্ত শিক্ষক যে মসজিদের ইমামতি করতেন তার পাশেই তাঁর থাকার জন্য একটি ছোট টিনের ঘর রয়েছে। বুধবার (১০ মে) বিকেলে পড়ার কথা বলে তাঁর ঘরে ডেকে নিয়ে ওই শিশুকে ধর্ষণ করেন।
পরে রক্তক্ষরণ শুরু হলে শিশুটি কান্না করতে করতে বাড়িতে যায়। পরে পরিবারের সদস্যদের জানালে তাঁরা গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে জেলা হাসপাতালে নেন। অবস্থার অবনতি হলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক ময়মনসিংহে পাঠান।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জামালপুর সদর হাসপাতালের গাইনি বিভাগের দায়িত্বরত এক চিকিৎসক বলেন, শিশুটির তীব্র রক্তক্ষরণ হচ্ছিল, বন্ধ হচ্ছিল না। তাই শিশুটিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে মেলান্দহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেলোয়ার হোসেন বলেন, ঘটনাস্থলে ও হাসপাতালে ওই শিশুকে দেখতে গিয়েছিলাম। অভিযুক্ত এ ঘটনার পরেই পলাতক রয়েছেন। শিশুটি পরিবারের সদস্যরা ব্যস্ত রয়েছে। তাঁরা থানায় আসতেছেন, পরে মামলা দায়ের করা হবে।