আর সেই বিদ্যুৎ দিয়ে মোবাইল, জিপিএস ট্র্যাকিং থেকে শুরু করে ক্যামেরা সবকিছুই চার্জ করা যায়। তার বাবা স্বরূপ শেঠ একজন পাটকল শ্রমিক। সামান্য বেতনে সংসার চলে না। কিন্তু তার জন্য থেমে থাকে না স্বপ্ন। আর সেই স্বপ্নকে ছুতে চাইছে চন্দননগর কানাইলাল স্কুলের ইংরেজি বিভাগের এই পড়ুয়া।
পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ার সময় তার কাকাকে ইলেকট্রনিক্স নিয়ে কাজ করতে দেখে ইলেকট্রনিক্সের প্রতি তার আগ্রহ। আর এভাবেই তার নতুন পথচলা শুরু। জানা গেছে, ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি বিজ্ঞান প্রদর্শনী পুরষ্কার পেয়েছছে সৌভিক।
সৌভিকের দাবি, জুতা পরে হাঁটলে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যায়। ২০০০ এমএএইচ ব্যাটারি সহজেই চার্জ হবে। মাত্র এক কিলোমিটার হাঁটলেই এই ব্যাটারি চার্জ হবে। ওর বিশ্বাস, ওর এই আবিষ্কার যারা পাহাড়ে অভিযান করে বা জঙ্গলে যায়, তাদের খুব কাজে লাগবে।
সৌভিক জানায়, আপাতত এই স্মার্ট জুতার সঙ্গে যুক্ত সিস্টেমটি বাইরে যুক্ত করা হয়েছে। এক মাসের মধ্যে সমস্ত গ্যাজেট জুতার তলদেশে তৈরি করা হবে।
সৌভিক জানায়, "পরিত্যক্ত জি্নিসপত্র থেকে আমি এই স্মার্ট স্যুটটি তৈরি করেছি। এই জুতাগুলিতে জিপিএস সিস্টেম রয়েছে যা শিশুদের জন্য খুব সুবিধাজনক। অনেক সময় কোনো শিশু চুরি হয়ে গেলে তা খুঁজে পেতে অনেক সময় লেগে যায়। তবে এটি পরলে সহজেই পাওয়া যাবে।
শুধু তাই নয়, পরিবারের সদস্যরা দেখতে পাবেন তাদের সন্তানরা কোথায় আছে। জুতাগুলি স্পাই ক্যামেরা দিয়ে সজ্জিত। আশেপাশে সন্দেহজনক কোনো ব্যক্তি থাকলে তা সহজেই দেখা যায়। তবে সন্দেহভাজন ব্যক্তি বুঝতে পারবে না যে তার জুতার সাথে একটি ক্যামেরা সংযুক্ত রয়েছে। হাঁটা গতিশক্তি তৈরি করে এবং সেখান থেকে এই বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয়।
সৌভিক চায় অদূর ভবিষ্যতে আই আই টিতে পড়তে আর স্বপ্ন দেখে তার এই আবিষ্কার দেখে যদি বড় কোন কোম্পানী এগিয়ে আসে।
সৌভিকের মা সোমা শেঠ বলেন,'ও যখন পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ত, তখন সে তার কাকার সঙ্গে চাইনিজ লাইটের কাজ দেখত। এখান থেকেই তার ইচ্ছা আসে। প্রথমে, একটা সাইকেল কলিং বেল পরিত্যক্ত উপকরণ থেকে তৈরি করে। পরে একটি গুপ্তচর স্যুট তৈরি করেছিল, যার মধ্যে ক্যামেরা সহ নেভিগেশন অন্তর্ভুক্ত ছিল। এটা বানাতে অনেক খরচ হয়'।