নিউজ ডেস্কঃ ২০১২ সালের স্যান্ডি হুক স্কুলে হামলার ঘটনার পর উভালদের ঘটনা মার্কিন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সবচেয়ে মারাত্মক শিশুহত্যা। নিউটাউন স্যান্ডি হুক স্কুলে হামলায় একজন বন্দুকধারী ২০ শিশু এবং ৬ জন প্রাপ্তবয়স্ককে হত্যা করেছিল। এই ঘটনাগুলো প্রমান করছে যে আমেরিকার স্কুল, গীর্জা, দোকান কোন জায়গাই আর নিরাপদ নয়। - এমনকি যেখানে শিশুরা দুপুরের খাবার নিয়ে আসে, পড়াশোনা শেখে, তারা জানেও না যে কোন মুহুর্তে তারা চলে যেতে পারে।
উভালদে আক্রান্তদের মধ্যে একজন ছিলেন ইভা মিরেলেস, একজন চতুর্থ শ্রেণীর শিক্ষক যিনি প্রায় ১৭ বছর ধরে স্কুলে কাজ করেছিলেন। তার স্বামী রুবেন রুইজ একজন পুলিশ অফিসার। আততায়ী গুলি চালানোর সঙ্গে সঙ্গে তিনিও পালটা জবাব দেন। তাকে লক্ষ্য করেও গুলি চালায় আততায়ী, কিন্তু তিনি গুলিবিদ্ধ হননি। মিরেলেসের মামিমা, লিডিয়া মার্টিনেজ ডেলগাডো টাইমস পত্রিকাকে একটি বার্তায় বলেচ্ছেন, তিনি তার ভাগ্নীকে হারিয়েছেন এমন এক ঘটনায়, যার চেয়ে দুঃখজনক ঘটনা আর কিছু হতে পারেনা। তিনি বলেছেন, দেশকে এবার বন্দুক সংক্রান্ত আইন নিয়ে ভাবতে হবে। অল্পবয়সীদের বন্দুক পাওয়া এবং এলোমেলোভাবে গুলি করা খুব সহজ। তিনি বলেন, “আমার ভাগ্নি, ইভা, তার ছাত্রদের রক্ষা করতে গিয়ে তার জীবন হারিয়েছে। মনে রাখতে হবে, যেন শিক্ষক, অভিভাবক এবং শিক্ষার্থীরা স্কুলে যেতে বা তাদের বাচ্চাদের স্কুলে পাঠাতে ভয় না পায়।
রাষ্ট্রপতি বাইডেন মঙ্গলবার সন্ধ্যায় একই কথা বললেন। হোয়াইট হাউস থেকে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তিনি ঘোষণা করলেন, এবার কাজ করার সময়। ২০১২ সালে নিউটাউনে গুলি চালনার পর বেশ কয়েকটি প্রশ্ন ওঠে। দায়ী করা হয় ৩ টি বিষয়কে। এর মধ্যে ছিল ১। মানসিক অসুস্থতা ২। জাতিগত অসহিষ্ণুতা ও বন্দুক সংক্রান্ত আইন। উদাহরণস্বরূপ, ২০১২ সালের ডিসেম্বর মাসে কানেকটিকাটের নিউটাউনের স্যান্ডি হুক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গুলি চালানোর পরের দিনগুলিতে মার্কিন মিডিয়া শ্যুটার অ্যাডাম ল্যাঞ্জাকে সিজোফ্রেনিয়ায় আক্রান্ত বলে জানায়। আমেরিকার জনগণ আর একটি প্রশ্ন তুলেছেন, তা হল বন্দুকের সহজলভ্যতা আর বন্দুকের প্রতি অল্পবয়সীদের তীব্র আকর্ষণ। তারা এদিকে সরকারের দৄষ্টি আকর্ষণ করেছেন।