ইডির বিরুদ্ধে দেশ জুড়ে বিক্ষোভ দেখাবে কংগ্রেস। নিজের ঘরে ইডি ঢুকলেই কি এই দ্বিচারিতা?

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ পশ্চিমবঙ্গে ইডির স্ক্যানারে এখন তৃণমূলের রাঘব-বোয়ালরা। গ্রেপ্তার পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মতো হেভি-ওয়েট নেতা তথা মন্ত্রী। ডাক পড়ছে আরো বড়ো বড়ো নেতা-আধিকারিকদের। স্বভাবতইঃ খুশি এই রাজ্যের কংগ্রেস। রাজ্য-কংগ্রেস নেতারা এই নিয়ে প্রতিদিন মিডিয়াতে তাদের মতামত দিচ্ছেন। সুযোগ খুঁজছেন, ঘোলাজলে মাছ ধরা যায় কিনা। 
কিন্তু এই কংগ্রেস আবার সোনিয়া ও রাহুল গান্ধীর ক্ষেত্রে ইডির ভূমিকায় সম্পূর্ণ ভিন্ন মেরুতে। সেক্ষেত্রে ইডির ভূমিকা এতো খারাপ যে রাজ্য জুড়ে বার বার প্রতিবাদ-বিক্ষোভ আন্দোলন হচ্ছে, হয়ত হবেও। কিন্তু, কেন এই দ্বিচারিতা? নিঃসন্দেহে এটা তাদের রাজনৈতিক দল হিসাবে একটা আজেন্ডা। কিন্তু কংগ্রেস কি জানে, জনগণ নামক একটা ‘বস্তু’ আছে। তারা শুধু ভোটের আগেই থাকেনা। সারা বছর ধরেই তারা থাকেন, রাজনৈতিক দল তাদের ভুলে যাক বা না যাক। এই জনগণ কিন্তু সব বোঝেন, কংগ্রেস যতই ভাবুক, তারা কিছু বোঝেন না। এই দ্বিচারিতা বুঝিয়ে দিচ্ছে, আগুন নিজের গায়ে লাগলে আগুন, আর অন্যের গায়ে লাগলে ফাগুন – মানে ফাগুনের রঙ। 
যে কোন রাজনৈতিক দলের কাছে এই দ্বিচারিতার একটা বিপরীত দিক আছে। এই দ্বিচারিতা পরোক্ষে সেই দলের ক্ষতি করে। মানুষ তথা ভোটারদের বিশ্বাস হারাতে থাকে। হয়ত এই ভাঙ্গনটা সঙ্গে সঙ্গে ধরা পড়ে না, কিন্তু ঘূণপোকার মতো ভিতরে ভিতরে ফোঁপড়া করে দেয়। কিন্তু, এখানে তৃণমূল ও কংগ্রেসের মধ্যে একটা পার্থক্য আছে। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেপ্তার বা অন্যান্য নেতাদের ডাকা নিয়ে তারা রাস্তায় নামেনি। কিন্তু শুধু সোনিয়া-রাহুলকে ইডির ডাকা বা জিজ্ঞাসাবাদ নিয়ে তারা বার বার রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেক্ষাচ্ছে। আর সেই বিক্ষোভকে দেশ জুড়ে ছড়িয়ে দিয়ে তারা কী প্রমান করার চেষ্টা করছে? 

মানুষকে রাজনৈতিক দল গুরুত্ত্ব দিক বা না দিক, মানুষের চোখ, কান ও মস্তিষ্ক নামক একটা পদার্থ আছে। এইটা যদি ভুলে যাওয়া হয়, তাহলে আখেরে ক্ষতি রাজনৈতিক দলের ই। এটা যত আগে বোঝা যায়, ততই ভালো।
Tags

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Top Post Ad

Below Post Ad