নববিবাহিতা তরুণীকে ‘ক্যান্সার পেসেন্ট’ বলে শ্বশুরবাড়ির মানসিক চাপ, আত্মহত্যা নববিবাহিতার

ভয়েস ৯, নিউজ ডেস্কঃ আজ ভুবনেশ্বরের মঞ্চেশ্বর থানার অন্তর্গত জিজিপি কলোনিতে প্রজ্ঞান পারমিতা সোয়াইন নামে এক নববিবাহিতা আত্মহত্যা করেন। শ্বশুরবাড়ির লোকেরা তাকে ফিরিয়ে না নেওয়ায় তিনি ভাইয়ের বাড়িতেই ছিলেন। যিনি কটক জেলার নিয়ালি থানার অন্তর্গত কুলা লুনিগাঁওয়ের বাসিন্দা প্রভাকর সোয়াইনের মেয়ে। পরিবারের সদস্যদের মতে, তার স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির লোকেরা তার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করার পরে তিনি মারাত্মক চাপের মধ্যে ছিলেন। তারা তাকে ক্যান্সারের রোগী বলে মানসিক অত্যাচার চালাতো। 

 জানা গেছে, গত ৮ জুন কটক জেলার নিয়ালি থানার অন্তর্গত কুলা লুনিগাঁওয়ের বাসিন্দা প্রভাকর সোয়াইনের মেয়েপ্রজ্ঞান পারমিতার সঙ্গে ভুবনেশ্বরের পটিয়া এলাকার বাসিন্দা প্রশান্ত পাত্রের সঙ্গে বিয়ে হয়। অভিযোগ, বিয়ের ১২ দিন পর তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাকে ফিরিয়ে নিতে বলে, কারণ সে ক্যান্সারের রোগী। এরপর, তার ভাই প্রজ্ঞানকে ভুবনেশ্বরের একটি বেসরকারী হাসপাতালে নিয়ে যান এবং তাকে পরীক্ষা করান। চিকিত্সকরা তার রোগটিকে দাঁতের ক্ষয়ের সঙ্গে সম্পর্কিত এবং ক্যান্সারের সাথে যুক্ত নয় বলে জানান। এরপর, তারা ছোটখাটো অস্ত্রোপচার করে তাকে ফেরত পাঠিয়ে দেন। কিন্তু, সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে ওঠার পরেও স্বামী প্রশান্ত বা শ্বশুরবাড়ির লোকজন কেউই তাঁকে গ্রহণ করেননি। এমনকি তারা তার মোবাইল নম্বরও ব্লক করে দেয়। 

 মৃতার ছোট ভাই প্রিয়ব্রত সোয়াইন জানান, 'তারা (শ্বশুরবাড়ির লোকজন) বলেছিল যে, সে ক্যান্সারের রোগী হওয়ায় তারা তাকে ফিরিয়ে নেবে না। আমার বোন কোনওভাবে এটি জানতে পেরেছিল এবং তীব্র মানসিক চাপের মধ্যে ছিল। মৃতার বড় ভাই প্রদোষ কুমার সোয়াইন বলেন, ২৫ দিন আগে তার সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করে ওর শ্বশুরবাড়ি। এইভাবে তারা তার উপর মানসিক নির্যাতন চালাচ্ছিল। প্রশান্ত বা তাঁর পরিবারের কোনও সদস্যের কাছ থেকে এখনও পর্যন্ত কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া না গেলেও, কীসের ভিত্তিতে তারা তাকে ক্যান্সারের রোগী বলে অভিহিত করেছেন সে সম্পর্কে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি, তবে মঞ্চেশ্বর পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।
ইনপুটঃ ওড়িশা টিভি

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Top Post Ad

Below Post Ad