এরপর আসে নির্ধারিত ফাঁসির দিন। সারিবদ্ধ অবস্থায় দাড় করিয়ে দেওয়া হয় অপরাধীদের। জাহরার আগে প্রকাশ্যে ফাঁসি দেওয়া হতে থাকে একের পর এক। মোট ১৬ জনের। মৃত্যু যন্ত্রণায় ছটফট করা মানুষগুলোকে দেখে ওখানেই হৃদরোগে আক্রান্তু হয়ে মৃত্যু হয় ইসমাইলির।
ইরানের নিয়ম অনুসারে ঠিক ছিল এসমাইলিকে ফাঁসিতে ঝোলাবেন নিহতের মা তথা ইসমাইলির শাশুড়ি। কিন্তু ফাঁসির আগেই মৃত্যু হওয়ায় পরিস্থিতি বদলে যায়।
শেষে ঠিক হয় জাহর এসমাইলির মৃতদেহটাকেই ঝোলানো হবে ফাঁসিতে আর তার শাশুড়িকে মৃতের পায়ের নীচ থেকে লাথি মারার অনুমতি দেওয়া হবে।
যদিও আধিকারিকরা এই ঘটনার কথা অস্বীকার করেছেন, আইনজীবী বলেছেন যে জাহরের মৃত্যুর কারণটি ফাঁসির পরিবর্তে কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট ছিল। ইরানের আইন অনুযায়ী, মাদক পাচারসহ আন্তর্জাতিক আইনের আওতায় 'সবচেয়ে গুরুতর' অপরাধ হিসেবে বিবেচিত না হলে নাগরিকদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা যেতে পারে।
২০২১ সালের জুনে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির নির্বাচনে বিজয়ের এক মাস আগে দেশটির রেকর্ডে সবচেয়ে বেশি মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছিল - ৫১ টি। গত অক্টোবরে জাতিসংঘের একজন মানবাধিকার বিশেষজ্ঞ এক আন্তর্জাতিক সঙ্গবাদ মাধ্যমকে বলেন, ইরানের প্রায় প্রতিটি মৃত্যুদণ্ডই 'নির্বিচারে জীবনের বঞ্চনা'।