এমন অবস্থায় গ্রামবাসী ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়। তারা এসে আহতদের হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যান ২ জন, পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মারা যান আরও ৩জন। আহত বাকি দুজনের অবস্থিও অনেকটাই আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছে চিকিৎসক।
প্রত্যক্ষদর্শী রিয়াদ হোসেন জানান, বৃষ্টি শুরু হলে তিনি পাশের একটি বাড়িতে আশ্রয় নেন। বলেন, হঠাৎ বিকট শব্দে বজ্রপাত হলে আমরা চিৎকার শুনে শ্যালো মেশিন ঘরের দিকে দৌড়ে যাই। তখন দেখি মেশিন ঘর থেকে ধোঁয়া বের হচ্ছে। কাছে গিয়ে দেখি একজন আরেক জনের ওপর পড়ে আছে। এসময় আমাদের চিৎকারে গ্রামের আরও মানুষ ছুটে আসে। উদ্ধার করার সময় দেখি ৫ জন মারা গেছেন।
উল্লাপাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ রাবেয়া খাতুন বলেন, বিকেলে বজ্রাহত ৫ জনকে হাসপাতালে আনা হয়। চিকিৎসা শুরু করতেই তাদের মধ্যে ৩ জন মারা যান। বাকি দুজনের চিকিৎসা চলছে। অল্প সময়ের মধ্যেই তাদের সিরাজগঞ্জ শহীদ এম মুনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হতে পারে বলেও জানালেন এই চিকিৎসক।
উল্লাপাড়া ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা জালাল উদ্দিন জানান, জাতীয় সেবা ৯৯৯ এর মাধ্যমে খবর পেয়ে দ্রুত দেখানে গিয়ে ৫ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করেন তারা। বাকিদেরও হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করে ফায়ার সার্ভিস। নিহদের লাশ পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে বলে জানালেন উল্লাপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ নজরুল ইসলাম। এ ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১০ জন নিহত হওয়ার খবর জানালেন তিনি।
এব্যপারে উল্লাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উজ্জল হোসেন জানান, এই দুর্ঘটনায় মর্মাহত তিনি। মৃতদেহগুলো দাফনের জন্য প্রতি পরিবারকে ২৫ হাজার করে টাকা দেয়া হবে। এছাড়াও দাফন না হওয়া পর্যন্ত সকল কাজে তাদের সহযোগিতা করার আশ্বাসও দিয়েছেন তিনি।