নার্গিসের বাড়ি কুষ্টিয়া সদর উপজেলার বিত্তিপাড়া বাজার এলাকা। তার স্বামীর বাড়ি একই উপজেলার কবুরহাট মিয়াপাড়া এলাকায়। তাদের দুটি মেয়ে সন্তান রয়েছে।
এ বিষয়ে নার্গিসের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করলেও তিনি কোনো কথা বলতে রাজি হননি।
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক আব্দুল মোমেন বলেন, বুধবার সকালে নার্গিস নামের গর্ভবতী এক নারী হাসপাতালে লেবার ওয়ার্ডে ভর্তি হয়। এরপর সে সকালেই একটি ছেলে সন্তানের জন্ম দেন। সন্তান প্রসবের কিছুক্ষণ পরেই সে বাচ্চা রেখে পালিয়ে যায়। বাচ্চাটি সুস্থ আছে, হাসপাতলে আছে।
নার্গিসের ননদ শিরিন সুলতানা বলেন, আমার ভাই প্রায় ২২ বছর ধরে সৌদি আরবে থাকে। কয়েক বছর পরপর গ্রামের বাড়িতে ছুটি কাটাতে আসে। গত দুই বছরের মধ্যে আমার ভাই বাড়িতে বা বাংলাদেশে আসেনি। তার দুটি সন্তান আছে। এরপরও আমার ভাবি অন্য পুরুষের সঙ্গে পরকীয়া করে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমার মাকে নিয়ে আমার ভাবি ও তার দুই সন্তান ভাইয়ের বাড়িতে থাকেন। বুধবার সকালে আমাদের বলে যে, তার পেটে ব্যথা করছে, গ্যাস হয়েছে। এরপর সে তার মাকে সঙ্গে নিয়ে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালের লেবার ওয়ার্ডে ভর্তি হয়। আজ আমরা জানতে পারি যে, তার পেটে বাচ্চা ছিল, সে বাচ্চা জন্ম দিয়েছে। বাচ্চা জন্ম দেওয়ার পর সে হাসপাতাল থেকে পালিয়ে গেছে। আমরা এর বিচার চাই। সে পরকীয়া সম্পর্ক করেছে এবং সন্তান জন্ম দিয়েছে।
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেলোয়ার হোসেন খানের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও তাকে পাওয়া যায়নি।