পঞ্চগড়ের নৌকাডুবিঃ অবশেষে বহুপ্রতীক্ষিত সেই আউলিয়া ঘাটে ব্রিজ নির্মাণের উদ্যোগ

বিশ্বজিৎ মন্ডল, ঢাকাঃ অবশেষে বহুপ্রতীক্ষিত সেই আউলিয়া ঘাটে ব্রিজ নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হল। কিন্তু আর কখনও ফিরে আসবেনা সেই হারিয়ে যাওয়া নিষ্পাপ প্রাণ গুলো, যারা চিরতরে হারিয়ে গেল করোতোয়ার অতল পানিতে। আউলিয়া ঘাটে ব্রিজ নির্মাণ দীর্ঘদিনের দাবি এলাকাবাসীর। কিন্তু নানান কারনে বিলটি পিছিয়ে গেলেও অবশেষে একনেকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ব্রিজ নির্মাণ হবে, চলবে গাড়ি, কমবে ভোগান্তি। কিন্তু আর কখনও ফিরে আসবেনা সেই হারিয়ে যাওয়া নিষ্পাপ প্রাণ গুলো।
আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালের জানুয়ারি অথবা ফেব্রুয়ারিতে আউলিয়া ঘাটে ব্রিজ নির্মাণের কাজ শুরু হবে। বিলটি ইতোমধ্যে একনেকে পাস হয়েছে বলে জানান রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন। বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলা মাড়েয়া বামনহাট ইউনিয়ন পরিষদে নৌকাডুবির ঘটনায় মৃত ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে মানবিক সহায়তা প্রদান শেষে এসব কথা জানান তিনি। নৌকাডুবির ঘটনার বিষয়ে রেলমন্ত্রী বলেন, অতিরিক্ত যাত্রীর চাপে এ রকম একটি ভয়াবহ ঘটনা ঘটেছে। এটি মেনে নেওয়া খুবই কঠিন। এ রকম দুর্ঘটনা স্মরণীয় হয়ে থাকবে। আমরা সরকারের পক্ষ থেকে ও দলের পক্ষ থেকে মৃত ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছি।
মন্ত্রী আরও বলেন, আপনারা দেখেছেন ঈদ যাত্রার সময় কি পরিমাণ মানুষ ট্রেনে উঠে। কোনো ফাঁকা জায়গা থাকে না। আর আমাদের রেল কর্তৃপক্ষ দিয়ে সেটিকে প্রতিহত করাও সম্ভব হয় না। সাধারণ মানুষ ভাবেন তাদের জীবনের চেয়ে সময়ের মূল্য অনেক বেশি। তবে এখানে পূজার যে সময়সীমা সেটিও একটি মুখ্য বিষয়। সঠিক সময়ের মধ্যে না যেতে পারলে হয়তো অর্চনা করা যাবে না। তবে কি কারণে এমন হলো? যারা মহালয়ার আয়োজন করেন তাদের দোষ আছে কিনা, সবকিছু খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এখনো তদন্ত কমিটির কাজ চলমান রয়েছে। নৌকা ডুবিতে নিহতদের পরিবারের জন্য দুর্যোগ ও ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের ভূমিকা নিয়ে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে প্রতিমন্ত্রী ডাঃ এনামুর রহমন বলেন, অনেকজনের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি হারিয়েছেন। বিষয়টি অনেক বেদনাবিধুর। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন যেভাবে পারা যায় তাদের পাশে থাকতে হবে। আমরা তাদের পাশে থাকবো। এত বড় দুর্ঘটনায় কোনো মামলা বা আটক না হওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, এ বিষয়ে তদন্ত কমিটির তদন্ত চলমান রয়েছে। প্রতিবেদনের পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে প্রশাসন। এ সময় রংপুর বিভাগীয় কমিশনার সাবিরুল ইসলাম, রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি আব্দুল আলীম, জেলা প্রশাসক জহুরুল ইসলামসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকতারা উপস্থিত ছিলেন।

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Top Post Ad

Below Post Ad