কিন্তু, ডেঙ্গির দাপট কিছুটা ফিরে আসায় আবার এই মশা বাহিত রোগ নিয়ে ভাবনা বাড়ছে।
শহরের পৌর এলাকায় তবু মাঝে মাঝে মশানাশক স্প্রে ছড়ানো হলেও, গ্রাম এলাকায় এসব কিছুই প্রায় হয়না বলে বহু গ্রাম এলাকার মানুষের অভিযোগ। এছাড়া বর্ষার পর বহু জায়গাতেই জল জমে থাকলেও সাধারণ মানুষের অসচেতনায় মশার বংশবৃদ্ধি ঘটে চলেছে। এই মুহুর্তে রাজ্যের ডেঙ্গি চিত্রটা উদ্বেগের না হলেও সাধারণ মানুষ, পৌরসভা, গ্রাম পঞ্চায়েত ও জেলাস্তরের স্বাস্থ দপ্তর সতর্ক না হলে অবস্থা আয়ত্বের বাইরে চলে যেতে পারে। পৌর এলাকার বাসিন্দাদের আর একটি বিষয়ে ক্ষোভ রয়েছে, তা হল, বহু সময় দেখা যায় এক শ্রেণীর কর্মীরা সামান্য কাজ করে তার ছবি তুলে পাঠানোতেই বেশি মনযোগ দেয়। একশ্রেণীর কর্মী এলোমেলো ভাবে সামান্য স্প্রে ছড়িয়ে দিয়ে দায়সারা ভাবে কাজ সারে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট দপ্তর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নিলে, দায় সেই পৌর বা পঞ্চায়েত বা স্বাস্থ দপ্তরকেই নিতে হবে বলে এলাকার মানুষ অভিযোগ করেছেন। আর ফল ভোগ করতে হবে সাধারণ মানুষকে।
ইতিমধ্যেই হুগলি জেলায় শুধু হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১২ জন ডেঙ্গি রোগী। এই মুহুর্তে বহু বাড়িতেই জ্বর। কাজেই হিসাবের বাইরেও ডেঙ্গি আক্রান্ত রোগী থাকতে পারে। রাজ্যের উত্তর দক্ষিণ ২৪ পরগণা, হুগলি, মুর্শিদাবাদ, দার্জিলিং, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর ও মালদা জেলাতে ডেঙ্গির প্রকোপ বাড়ছে বলে স্বাস্থ দপ্তর সূত্রে জানা গেছে। ডেঙ্গির লক্ষণ সম্পর্কে যে নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে, তাতে বলা হয়েছে, জ্বর থাকবে, সর্দি বা কাশি থাকবে না, গায়ে প্রচন্ড ব্যাথা থাকবে। মাথা ঘুরতে পারে। অতিরিক্ত ঘাম হতে পারে।