স্থানীয় সংরক্ষিত ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য তারা রানী ব্রক্ষ্ম জানান, মৃত ঝর্না রানীর বড় সন্তান সজলের বয়স ১১ বছর। পঞ্চম শ্রেনীতে পড়ে সে। ছোট ভাই-বোনদের রান্না করে খাবার তুলে দেয়। ভাই-বোনদের দেখাশুনা করতে গিয়ে তার পড়াশুনা বন্ধ হতে বসেছে। ওই পরিবারটির পাশে আমাদের দাঁড়ানো দরকার।
এ বিষয়ে সুদাস ব্রক্ষ্ম হতাশা ব্যক্ত করে জানান, স্ত্রীর মৃত্যুতে পুরো পরিবারটা এখন অচল হয়ে পড়েছে। তার বাড়ির ৩ শতক জায়গা ছাড়া আর কোন সম্পত্তি নেই। এ পরিস্থিতে কিভাবে সন্তানদের নিয়ে বেঁচে থাকবেন চিন্তায় ভেঙে পড়েছেন তিনি।
এ ব্যাপারে চিতলমারী সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শেখ নিজাম উদ্দিন জানান, মৃত ঝর্না রানীর পরিবারকে ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষথেকে সহায়তা প্রদানের কথা ভাবা হচ্ছে।
এবিষয়ে চিতলমারী উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মোঃ সোহেল পারভেজ জানান, এ বিষয়ে আমার কাছে কোন খবর আসেনি। তবে অসহায় ও এতিম পরিবারের সদস্যদের নিয়ে আমাদের অনেক ধরনের সেবা রয়েছে। পরিবারটির কোন সদস্য আমাদের সাথে যোগাযোগ করলে অবশ্যই আমরা তাদের জন্য সর্বাত্মক সেবা প্রদানের চেষ্টা করবো।
চিতলমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইয়েদা ফয়জুন্নেসা জানান, আমি বিষয়টি অবগত হয়েছি। আমাদের উপজেলা সমাজসেবা ও ইউপিতে এতিম, দুস্থ কার্ডসহ অন্যান্য সেবা রয়েছে। পরিবারটিকে উপজেলা থেকে সরকারী বিধি মোতাবেক সকল ধরনের সহায়তা প্রদানের আশ্বাসও দিয়েছেন এই কর্মকর্তা।
ক্যান্সারে মায়ের মৃত্যু অসহায় ৪ শিশু
2:08:00 PM
0
বিশ্বজিৎ মন্ডল, ঢাকা: ক্যান্সারের ভয়াবহতা বিশ্বব্যাপি বাড়িয়েছে মৃত্যুর আতঙ্ক। প্রতিনিয়ত এ রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছে অগণিত মানুষ। সম্প্রতি এগারো মাস বয়সী দুধের শিশুসহ ৪ সন্তানকে রেখে ক্যানসারে কাছে পরাজয় স্বীকার করেন হতভাগ্য মা। এমন মৃত্যুতে ওই শিশুদের জীবনে নেমে এসেছে চরম দুর্দশা। কে করবে লালন-পালন কে দেবে তাদের স্বান্ত্বনা। এমন পরিস্থিতির মধ্যে ওই শিশুদের জীবনে দেখা দিয়েছে চরম অনিশ্চয়তা। এমনই হৃদয় বিদারক ঘটনাটি ঘটেছে বাংলাদেশের বাগেরহাট জেলার অন্তর্গত চিতলমারী উপজেলার রুইয়েরকুল গ্রামে।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলার সদর ইউনিয়নের রুইয়েরকুল গ্রামের দীনমজুর সুদাস ব্রক্ষ্মের স্ত্রী ঝর্না রানী দুইটি পুত্র সন্তান ও দুইটি কন্যা সন্তানসহ ৪ টি সন্তান রেখে দেড় মাস আগে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। তার মৃত্যুর পর ওই শিশুরা অসহায় হয়ে পড়েছে। মৃত ঝর্না রানীর স্বামী দীনমজুর সুদাস ব্রক্ষ্ম সন্তানদের রেখে সকাল হলেই লোকের বাড়িতে কাজে চলে যান। তার সন্তানদের দেখাশুনার কেউ বাড়িতে না থাকায় যে কোন সময় পানিতে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে প্রতিবেশিদের অভিমত ওই বাড়ির চারপাশে জলাশয় থাকায় শিশুদের জীবন এখন সংকটাপন্ন।
রুইয়েরকুল গ্রামের এক গৃহবধূ তুলি বিশ্বাস জানান, সুদাস ব্রক্ষ্ম একেবারেই দরিদ্র লোক। ধার-দেনা করে স্ত্রী’র চিকিৎসা করিয়েও তাকে বাঁচাতে পারেনি। কাজ না করলে সংসার চলে না। যে কারণে তার শিশু সন্তানদের একা রেখে কাজে যেতে হয়। এই মুহূর্তে তাকে সরকারী ও বেসরকারি সহায়তা জরুরী দরকার বলে দাবি করেন তিনি।