ভয়েস ৯, নিউজ ডেস্কঃ শিশু ধর্ষণের অভিযোগে কঠোর ব্যবস্থা নিল তেলেঙ্গানা সরকার। হায়দ্রাবাদের যে বেসরকারী স্কুলে এক ৪ বছরের ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল, সেই ডিএভি পাবলিক স্কুলটি স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দিল। অন্যদিকে, স্কুলের অন্যান্য শিক্ষার্থীদের শিক্ষা যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সে জন্য তা তাদের অন্যান্য স্বীকৃত স্কুলে স্থানান্তরিত করার ব্যবস্থা করার নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পি. সাবিথা ইন্দ্র রেড্ডি।
পাশাপাশি, তিনি ডিইওকে অভিভাবকদের আশঙ্কা দূর করার জন্য সমস্ত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছিলেন এবং ভবিষ্যতে যাতে এই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয়, তা নিশ্চিত করতে আধিকারিকদের নির্দেশ দেন।
উল্লেখ্য, হায়দ্রাবাদের বানজারা হিলস থানা এলাকার ডিএভি পাবলিক স্কুলের প্রিন্সিপালের চালক বিমিনা রজনী কুমার ওই স্কুলের চার বছরের একটি ছাত্রীকে যৌন নিপীড়ন করত বলে অভিযোগ ওঠে। তিনমাস ধরে ওই অভিযুক্ত শিশুটিকে তার ক্লাসরুম থেকে একটি ডিজিটাল ক্লাসরুমে নিয়ে যেত এবং তার জামাকাপড় খুলে ফেলত। এরপর সে তার উপর নানা যৌন নির্যাতন চালাতো।
মেয়েটির বাবা-মা শিশুটির মধ্যে আচরণগত পরিবর্তন লক্ষ্য করার পরে ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে। এই পরিবর্তন সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে, মেয়েটি জানায় যে রজনী কুমার গত তিন মাস ধরে তাকে অকথ্যভাবে নির্যাতন করছিল। মেয়েটির বাবা-মা ও আত্মীয়রা ঘটনাটি জানার পরেই স্কুলে ছুটে আসে এবং চালককে মারধর করে।
এলকেজি শিক্ষার্থীকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে পুলিশ স্কুলের প্রিন্সিপালের চালককে গ্রেপ্তার করে। গাফিলতির অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় অধ্যক্ষকেও। তার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির (আইপিসি) ৩৭৬ এ এবং বি ধারা এবং পকসো আইনের ৫ (১) (এম) এর সঙ্গে ৬ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।