নিজস্ব প্রতিনিধিঃ আশঙ্কা
একটা আছে, তবু আশায় রয়েছে উৎসবপ্রিয় মানুষজন। যদি শেষ মুহুর্তে দুর্বল হয়ে পড়ে নিম্নচাপ,
কিংবা বদলে যায় ঘূর্ণিঝড়ের অভিমুখ? কিন্তু, তাতেই বা কী! দুর্বল না হলে ‘সিত্রাং’ ঘুরে যেতে পারে ওড়িশা কিংবা অন্ধ্রের
দিকে। সেই একই সমস্যা। তবে, দিল্লির মৌসম ভবন জানিয়েছে, এই ঝড় অন্ধ্রপ্রদেশের দিকে যাবে না। বরঞ্চ তা ওড়িশা, পশ্চিমবঙ্গ কিংবা বাংলাদেশের মধ্যে দিয়ে স্থলভাগে ঢুকবে। তবে, এই সমস্যা হতে পারে ধরে নিয়ে ওড়িশা সরকার ইতিমধ্যেই বিপর্যয় মোকাবিলার জন্য প্রস্তুতি শুরু করে
দিয়েছে। হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে ওড়িশার জগৎসিংহপুর, গঞ্জাম, পুরী, ভদ্রক, খুর্দা, কেন্দ্রপাড়া এবং বালাসোর জেলায়। সরকারী কর্মীদের উপর চাপানো রয়েছে বেশ
কিছু নির্দেশ। একই সঙ্গে ২২ থেকে ২৫ অক্টোবর
পর্যন্ত ছুটি বাতিল করা হয়েছে ওই জেলাগুলিতে।
যদিও সম্ভাব্য
ঘূর্ণিঝড়ের ব্যাপারে এখনও পশ্চিমবঙ্গের জন্য কোনও সতর্কবার্তা দেয়নি কেন্দ্রীয়
আবহাওয়া দফতর। তবু, যেভাবে ওড়িশা সরকার ঝড় মোকাবিলার
প্রস্তুতি নিয়েছে, একইভাবে পশ্চিমবঙ্গ সরকারও প্রস্তুতি শুরু
করে দিয়েছে। ইতিমধ্যেই দুই
মেদিনীপুর, দুই ২৪ পরগনা, ঝাড়গ্রাম, কলকাতা, হাওড়া ও হুগলি জেলায় ঝড় নিয়ে প্রয়োজনীয় সতর্কতা
জারি করা হয়েছে। এই জেলাগুলির সব
সরকারি কর্মচারীদেরও ছুটি বাতিল করতে পারে নবান্ন।
আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার দুপুরের মধ্যেই তা সুস্পষ্ট নিম্নচাপ হিসাবে দেখা দিতে চলেছে ‘সিত্রাং। ২২ তারিখ সকালের মধ্যেই তা গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে এবং ২৪ অক্টোবর সন্ধ্যার মধ্যে তা ঘূর্ণিঝড়ের চেহারা নেবে। এরপর ২৫ তারিখ রাতে অথবা ২৬ তারিখ ভোরে এই ঝড় আছড়ে পড়বে স্থলভাগে। তবে, এর পরিবর্তন হতে পারে। তাই প্রতিমুহুর্তে পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে আবহাওয়াবিদরা।