ভয়েস ৯, নিউজ ডেস্কঃ একেবারে শেষ মুহুর্তে যখন বুঝে
গিয়েছিলেন, যাত্রীদের বাচাতে পারবেন না আর নিজেও বাচবেন না, তখন মনে এসেছিল মুম্বাইএ
ফেলে আসা তার মেয়ে ফিরোজা সিং এর কথাই। স্ত্রীকে ফোনে বলেছিলেন, “মেয়ে অসুস্থ, ওর দেখাশোনা
কোরো।“
চলচ্চিত্র স্ক্রীপ্ট রাইটার স্ত্রী শিরিন ও তার মেয়ে
নিহত পাইলটের শেষ কৃত্যের জন্য দিল্লিতে এসেছেন। গত ১৫ বছর ধরে পাইলট অনিল সিং তার
মেয়ে ও স্ত্রীকে নিয়ে মুম্বাই এর আন্ধেরি শহরতলির একটি পশ হাউজিং
সোসাইটিতে বাস করতেন। মূলতঃ পূর্ব দিল্লির শাহাদরা এলাকার
বাসিন্দা অনিল সিং। কর্মসূত্রে মুম্বাই এ থাকতেন সপরিবারে।
এর আগে, উত্তরাখন্ড দুর্ঘটনায় মৃত পাইলট
ক্যাপ্টেন অনিল সিং ১৫ বছর ধরে একজন
অফশোর পাইলট ছিলেন। তার কাজ ছিল মাল্টি-ইঞ্জিনের ডাউফিন এন-৩ চপারকে বোম্বে
হাইতে নিয়ে যাওয়া। গত সেপ্টেম্বরে
আরিয়ান এভিয়েশনে যোগ দেন তিনি, যেখানে তিনি শুরু
করেন সিঙ্গল ইঞ্জিনবিশিষ্ট বেল ৪০৭ এর উড়ান।
অনিন্দিতা সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছেন, “আমাদের কাছে তার শেষ ফোনছিল গতকাল (সোমবার)। আমার মেয়ের
শরীর ভালো নেই। তিনি আমাকে তার যত্ন নিতে বলেছিলেন।
উল্লেখ্য, কেদারনাথ মন্দির থেকে
উত্তরাখণ্ডের গুপ্তকাশীতে উড়ে যাওয়ার পথে ৬ জন যাত্রী ও পাইলটকে নিয়ে ভেঙ্গে পড়ে আরিয়ান এভিয়েশনের
বেল-৪০৭ হেলিকপ্টারটি। ভেঙ্গে
পড়ার আগে আগুন ধরে যায়। তারপর কেদারনাথ থেকে মাত্র তিন কিলোমিটার দূরে গারুদ
ছাট্টির দেব দর্শিনীতে সকাল ১১টা ৪৫ মিনিট নাগাদ এটি আছড়ে পড়ে। মারা যান সকলেই। কিন্তু কী
কারণে এই দুর্ঘটনা। ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে তদন্তের প্রাথমিক কাজ।