পুলিশ জানিয়েছিল, গ্রামবাসীরা জাসোদার বিরুদ্ধে জাদুবিদ্যা করার অভিযোগ করতেন। তাদের ধারণা ছিল ওই মহিলা একজন 'ডাইনি'। এরপর গ্রামবাসীরা দলবদ্ধ হয়ে ওই মহিলাকে লাঠি, পাথর এবং লোহার রড দিয়ে আক্রমণ করে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই মহিলার।
রৌরকেল্লার অতিরিক্ত দায়রা বিচারক ভি. সুজাতা রাতাকান্দি গ্রামে সংঘটিত হত্যার জন্য ১৪ জনকে দোষী সাব্যস্ত করেন। তিনি আদালতে রায় ঘোষণা করে বলেন, যেহেতু ১১ জন অপরাধী (সমস্ত পুরুষ) নৃশংসভাবে ওই মহিলাকে হত্যা করেছে, তাই তাদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এই দোষীদের আইপিসি এবং ওড়িশা ডাইনি শিকার প্রতিরোধ আইন ২০১৩ এর বিভিন্ন ধারায় জরিমানাও করা হয়েছিল। ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৪৭ ধারা এবং ওডিশা ডাইনি অপবাদ প্রতিরোধ আইন ২০১৩-এর ৪ (২) ধারায় দোষী সাব্যস্ত তিন মহিলাকে দুই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
সুন্দরগড়ের পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল শামীম আখতার এবং রৌরকেল্লার অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর স্বরুপ রঞ্জন রথ ভুক্তভোগীদের পক্ষে আদালতে সওয়াল করেন।
গঞ্জাম জেলার মধুরঝোলা গ্রামে একই ভাবে এক মহিলাকে হত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত ২০ জন মহিলা সহ ৩৩ জনকে গ্রেপ্তারের একদিন পর এই রায় দেওয়া হয়েছে।