সুপ্রীম কোর্টের আদেশে পরিবেশ-বান্ধব নয় এবং যা নাগরিকদের স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক। এমন বাজি তৈরি, ব্যবহার এবং বিক্রি নিষিদ্ধ। যে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে, তাতে যদি কোনও গাফিলতি থাকে, তাহলে তা অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হবে।
রায়া গুপ্তা, শিলিগুড়ি ও মানস পাল, হুগলিঃ একদিকে হাইকোর্টের আদেশ, অন্যদিকে সুপ্রীম কোর্টের নির্দেশ নিষিদ্ধ বাজি নিয়ে। সুপ্রীম কোর্টের নির্দেশ নিষিদ্ধ বাজি নিয়ে যে নির্দেশ আছে, তাতে গাফিলতি থাকলে, তা অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে দেখা হবে। শিলিগুড়ি পুলিশ নিষিদ্ধ পরিবেশ-বান্ধব নয় এমন বাজি বিক্রির অভিযোগে দিব্যজিৎ কর নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে। শিলিগুড়ির নিবেদিতা মার্কেটে তার ব্যবসা। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পুলিশ তার দোকানে হানা দেয়। তার দোকান থেকে ১২০ বাক্স নিষিদ্ধ বাজি আটক করেছে পুলিশ।
এদিকে, আসন্ন কালীপুজো উপলক্ষে শিলিগুড়ির বিভিন্ন মার্কেটে লুকিয়ে-চুরিয়ে বিক্রি হচ্ছে এই নিষিদ্ধ আতশ বাজি। এ বিষয়ে শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার অখিলেশ চতুর্বেদী জানান, পুলিশের তরফে নিষিদ্ধ আতশবাজির বিরুদ্ধে লাগাতার অভিযান চালানো হবে।
অন্যদিকে, হুগলি জেলার চন্দননগর কমিশনারেট এর উদ্যোগে লাগাতার নজর রাখা চলছে যাতে নিষিদ্ধ শব্দবাজি জেলায় ঢুকতে না পারে। এ ব্যাপারে কয়েকদিন আগে গভীর রাতের নাকা চেকিং এ হাজির ছিলেন পুলিশ কমিশনার অমিত পি জাভালগি। পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে পুলিশ কমিশনার বলেন, ''সামনে জগদ্ধাত্রী পুজো তার আগে কালী পুজো রয়েছে। বেআইনি শব্দ বাজির বিরুদ্ধে অভিযান চলছে।
কিন্তু এত, চেকিং সত্বেও নিষিদ্ধ বাজি মিলছে হুগলি জেলার শহর ও গ্রামে। যত্র-তত্র ফাটছে নিষিদ্ধ বাজি। কিন্তু, এখনো পর্যন্ত হুগলি জেলায় কেউ এ ব্যাপারে ধরা পড়েনি বলে জানা গেছে। একই অবস্থা, হরিপাল, ভান্ডারহাটি, চন্ডীতলা, আরামবাগ, রিষড়া, শ্রীরামপুর ও তারকেশ্বরে। পুজো না থাকলেও তারকেশ্বরে প্রতি রাতেই ফাটছে শব্দবাজি। অথচ, এই নিষিদ্ধ শব্দবাজি আটকের উপর রাজ্য পুলিশ ও কলকাতা পুলিশের উপর হাইকোর্টের পরিষ্কার নির্দেশ আছে। এ ব্যাপারে কোন গাফিলতি ধরা পড়লে সে ব্যাপারটা গুরুত্ব সহকারে দেখবে সুপ্রীম কোর্টও। অথচ, এত, নির্দেশ সত্বেও কীভাবে এটা চলছে ভেবে পাচ্ছেন না স্থানীয় মানুষ।
সুপ্রীম কোর্টের নির্দেশ ‘বেরিয়াম সমৃদ্ধ বাজি নিষিদ্ধ করা হচ্ছে , যা নাগরিকদের স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক । আরও স্পষ্টভাবে প্রবীণ নাগরিক এবং শিশুদের (ক্ষেত্রে ক্ষতিকারক)।’ সেইসঙ্গে সকল রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে আদালত নির্দেশ দিয়ছে, বাজির উপর যে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে, তাতে যদি কোনও গাফিলতি থাকে, তাহলে তা অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হবে।