নিষিদ্ধ বাজি উদ্ধারে হুগলি গ্রামীন পুলিশের সাফল্য, উদ্ধার ২০০ কেজি বাজি

নিজস্ব প্রতিনিধি, হুগলিঃ একদিকে হাইকোর্ট ও সুপ্রীম কোর্টের আদেশ, অন্যদিকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ, নিষিদ্ধ বাজি প্রস্তুতকারী, পাচারকারী ও ব্যবহারকারীদের গ্রেপ্তার করতে হবে। তাই রাজ্যজুড়ে শুরু হয়েছে বে-আইনি বাজির বিরুদ্ধে কড়া পুলিশি অভিযান। বেআইনি শব্দবাজি মজুদ এবং বিক্রি করা আইনত অপরাধ এ বিষয়ে জনসচেতনতা গড়তে বাজি বিক্রেতাদের সঙ্গে একাধিক বৈঠক করেছে কলকাতা পুলিশ ও রাজ্য পুলিশ। কলকাতা, হাওড়া, উত্তর ২৪ পরগণা, শিলিগুড়ি, মালদা, বীরভূমের পর হুগলি গ্রামীন পুলিশ নিষিদ্ধ বাজি উদ্ধারে অভিযান চালাচ্ছে।
জানা গেছে, আরামবাগের এসডিপিও অভিষেক মন্ডল এর নেতৃত্বে খানাকুল থানা এলাকায় তল্লাশি চালানো হয়। এই তল্লাশি অভিযানে পুলিশ প্রায় ২০০ কেজি নিষিদ্ধ বাজি আটক করে। এখন, খোজ চালানো হচ্ছে, বাজি তৈরির সঙ্গে যারা যুক্ত আছে তাদের। এছাড়া, পুলিশের তরফ থেকে লক্ষ্য রাখা হচ্ছে, যাতে কেউ অননুমোদিত বা নিষিদ্ধ বাজি বিক্রি না করে। এ ব্যাপারে হুগলি গ্রামীন পুলিশের পক্ষ থেকে অসাধু ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে, কলকাতা ও সল্টলেকের বিভিন্ন থানা এলাকায় নিষিদ্ধ বাজি ব্যবহার নিয়ে পুলিশের তরফ থেকে জনগনকে সচেতন করার কাজ শুরু করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কালীপুজোকে নির্বিঘ্নে কাটানোর পাশাপাশি নিষিদ্ধ বাজি ফাটানো রুখতে পুলিশকে কড়া নির্দেশ দিয়েছেন। সেই নির্দেশের ভিত্তিতে পুলিশ প্রশাসন শুরু করেছে তল্লাশি অভিযান। অবৈধ আতশবাজির বিরুদ্ধে সচেতনতা বাড়াতে বিধাননগর কমিশনারেটের সমস্ত থানা থেকে র‍্যালি, মিটিং এবং মাইকিং করা হচ্ছে। কমিশনারেটের পক্ষে থেকে এ বছর একটি পরিষ্কার সবুজ দিওয়ালি এবং কালিপুজো পালনের বার্তা দেওয়া হচ্ছে।

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Top Post Ad

Below Post Ad