অন্যদিকে, এই ২ টি ঘটনার পরেই আরো একটি ধর্ষণের খবর এসেছে উনকোটি থেকে। কৈলাসহরের ইরানি থানার পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কৈলাসহরের ইসবপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত পাখীর বাজার গ্রামের অহিদ আলি গত ২৫ অক্টোবর বিকেলে এক নাবালিকাকে অপহরণ করে সারা রাত ধরে ধর্ষণ করে।
গত ২৬ অক্টোবর নাবালিকার পরিবার থানায় গেলে পুলিশ হালাইছড়া এলাকা থেকে ওই নাবালিকাকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। পরে ওই নাবালিকার পরিবার অভিযুক্ত অহিদ আলির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমে বুধবার রাতে অভিযুক্ত অহিদ আলিকে গ্রেফতার করে।
বৃহস্পতিবার সকালে বিগত ২ টি গণধর্নিষণ নিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করে বাম ছাত্র সংগঠন এসএফআই।
গতকাল তারা রাজ্য পুলিশের সদর দফতরের সামনে বিক্ষোভ দেখায়। এসএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক সন্দীপন দেব সরকারের সমালোচনা করে বলেন, ‘গত সাড়ে চার বছরে রাজ্যে আইনের শাসন নেই, জঙ্গলের রাজত্ব চলছে। কারণ প্রতিদিনই রাজ্যে ছাত্র, নাবালিকা, তরুণী, মহিলারা ধর্ষণের শিকার হচ্ছেন।‘
তিনি বলেন, ‘সরাসরি সরকার ঘনিষ্ঠ ও ক্ষমতাসীন দলের নেতারা এসব খুন-ধর্ষণে লিপ্ত হয়েছেন। অর্থাৎ, বিজেপি সরকার এ রাজ্যে নারী নির্যাতনের উৎস হয়ে উঠেছে, তাই আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় পুলিশ যাতে সোজা হয়ে দাঁড়ায়, সেই দাবিতেই আজ পুলিশের কাছে সরব হয়েছে এসএফআই।‘
বিক্ষোভ কর্মসূচিতে উপস্থিত এসএফআইয়ের রাজ্য সভাপতি সোলেমান আলি বলেন, কল্যাণপুরে গণধর্ষণের ঘটনায় উপপ্রধান ও বিজেপি দলের গুন্ডারা জড়িত। অন্য দিকে, কুমারঘাটের গণধর্ষণের ঘটনায় জড়িত মন্ত্রীর ছেলে পুলিশের হাতে গ্রেফতার না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে বলে জানান তিনি।