ই নবজাতকের মা ইতি (২৩) বগুড়া সদর উপজেলার এরুলিয়া বানদিঘী এলাকার সৈকত হাসানের স্ত্রী।
নবজাতকের নানি সালেহা বেগম বলেন, গত ৫ নভেম্বর আমার মেয়ের প্রসব ব্যথা শুরু হলে সন্ধ্যার দিকে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করাই। পরের দিন ৬ নভেম্বর সে ছেলে সন্তানের জন্ম দেয়। আজ ইতি ও আমার বড় মেয়ে রোজিনা বাচ্চাকে নিয়ে গাইনি ওয়ার্ডে বসে ছিল।
এসময় অজ্ঞাত এক নারী নবজাতক জন্ম হওয়ায় আমাদের সরকারিভাবে পাঁচ হাজার টাকা সহায়তা দেওয়া হবে বলে জানান। এই বলে আমার বড় মেয়ে রোজিনা ও নাতিকে নিয়ে তিনি নিচ তলার বহির্বিভাগে আসেন। একপর্যায়ে ওই নারী আমার বড় মেয়েকে কিছু কাগজ ফটোকপি করার কথা বলে নাতিকে চুরি করে নিয়ে যান।
বিষয়টি নিশ্চিত করে হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, ঘটনাটি জানার পর থেকেই ওই নবজাতকের খোঁজ চলছে। সেইসঙ্গে মেডিকেলে থাকা সিসি ক্যামেরা চেক করে অপরাধী শনাক্তের ব্যবস্থা চলছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা পুলিশকে জানিয়েছি। আর্থিক সহায়তার কথা বলে এই ঘটনা ঘটেছে। সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) শরাফত ইসলাম বলেন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এরইমধ্যে আমাদের বিষয়টি জানিয়েছে। আমাদের দুটি টিম ঘটনার রহস্য উদঘাটনে কাজ শুরু করেছে।