কিন্তু, পাত্র কে হবে? কেউ কি চাইবে তার বিধবা পুত্রবধূকে বিয়ে করতে, তার ও তার কন্যার দায়িত্ব নিতে। অবশেষে পাওয়া গেল পাত্র। কিশোরবাবুর পুত্র ইন্দ্রজিতের ছোটবেলার বন্ধু চিঁচুড়িয়ার গ্রামেরই বাসিন্দা প্রভাত ফৌজদার। অবশেষে, বৃদ্ধ শ্বশুরের ঐকান্তিক ইচ্ছায় বিয়ে হয়ে গেল পূজা ও প্রভাতের। দুই পরিবারের উপস্থিতিতে আসানসোল ঘাগরবুড়ি মন্দিরে প্রভাত-পূজার বিয়ে সুসম্পন্ন হল। এই বিয়েতে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান বিশ্বনাথ সাঙ্গুই এবং পঞ্চায়েত সদস্য অমিতকুমার চক্রবর্তী। তারা কিশোরবাবুর এই মহৎ প্রচেষ্টাকে স্বাগত জানিয়েছেন।
জানা গেছে, কিশোরবাবুর একমাত্র পুত্রের সঙ্গে পূজার বিয়ে হয় বছর খানেক আগে। বিয়ের ২ বছরের মাথায় আচমকাই সাপের কামড়ে মৃত্যু হয় পুত্র ইন্দ্রজিতের। স্বামীর মৃত্যুতে ভেঙ্গে পড়লেও পূজা আর বাপের বাড়িতে ফিরে যাননি। তার ভবিষ্যতের কথা ভেবেই কিশোরবাবুর এই উদ্যোগ।