অন্যদিকে, রাজ্যের শাসক দল, সিবিআই যে তদন্তকারী সংস্থা হিসাবে খুব বেশি সাফল্য দাবি করতে পারে না, সেটাই আবেভাবে বোঝাতে চেয়েছে।
কিন্তু এবার, বিষয়টা একটু অন্যরকম। স্কুল নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলার শুনানিতে কলকাতা হাইকোর্টের মাননীয় বিচারপতি অভিজিৎ গাঙ্গুলি এই তদন্তের ভাগ্য সারদা কেলেঙ্কারির মতো হতে দিতে চান না বলে মন্তব্য করেছিলেন। আর তারপরই ইডি আবার নতুনভাবে তদন্তকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
জানা গেছে, ইডি ইতিমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন ডিরেক্টর জেনারেল অফ পুলিশ এবং অভিযুক্ত সংস্থার প্রাক্তন কর্মকর্তা রজত মজুমদারের দুটি অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করেছে। সূত্র জানাচ্ছে, ভবিষ্যতে,ইডি আরও বেশি লোককে তলব করতে পারে যারা এই কেলেঙ্কারির সুবিধাভোগী বলে মনে করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে ২০০০ কোটি টাকার কেলেঙ্কারির ঘটনায় সংস্থার চলমান তদন্তে সিবিআই মজুমদারকে গ্রেফতার করেছিল। পরের বছর ফেব্রুয়ারিতে তিনি জামিনে মুক্তি পান। গ্রেপ্তার হওয়ার সময় মজুমদার ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেসের সহ-সভাপতিও ছিলেন।
কলকাতা পুলিশের এফআইআরের ভিত্তিতে ২০১৩ সালে সারদা গ্রুপ অফ কোম্পানিজের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছিল ইডি। কেন্দ্রীয় সংস্থা সংস্থাটি ৩৫ কোটি টাকারও বেশি মূল্যের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে, যার মধ্যে রয়েছে বাংলার বেশ কয়েকটি জেলায় যানবাহন, ভবন, ফ্ল্যাট এবং বাংলো।