উদ্ধার করা অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে ৫টি পিস্তল, ১০টি ম্যাগাজিন, ৪৯ টি পিস্তলের গুলি, ২টি গ্রেনেড ও একটি আইইডি।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কুপওয়ারা জেলার চিরকোট এলাকার বাসিন্দা বিলাল আহমেদ দার নামে এক ব্যক্তির সম্পর্কে একাধিক তথ্য পাওয়ার পর, কুপওয়ারার নুতনুসা এবং লোলাব এলাকা থেকে ওই ব্যক্তিকে ধরার জন্য সেনাবাহিনী ও কুপওয়ারা পুলিশ একটি যৌথ অভিযান শুরু করে।
ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করার পর তিনি জানান, উত্তর কাশ্মীরের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা আরও পাঁচজনের সঙ্গে তিনি ইসলাহী ফালাহি রিলিফ ট্রাস্ট (আইএফআরটি) নামে একটি ভুয়া এনজিওর ছদ্মবেশে সন্ত্রাসে অর্থ যোগানের একটি চক্র চালাচ্ছিল। বাইরে প্রচার করা হয়েছিল, এই এনজিওটি দরিদ্র ও দুস্থ পরিবারগুলোকে আর্থিক সাহায্য দেয়।
জানা গেছে, উত্তর কাশ্মীরে তেহরিক-ই-উল মুজাহিদিন জম্মু ও কাশ্মীর (টিইউএমজেকে) এর অপারেশনে সাহায্য করার জন্য পাকিস্তান ভিত্তিক হ্যান্ডলারদের দ্বারা এই মডিউলটি তৈরি করা হয়েছিল।
"গ্রুপটির মোডাস অপারেন্ডি ছিল বিভিন্ন গ্রামে যাওয়া এবং এনজিওর ছদ্মবেশে অনুষ্ঠান ও সমাবেশ পরিচালনা করা এবং দাতব্য সংস্থার জন্য অর্থ সংগ্রহ করা এবং সম্ভাব্য সফট টার্গেটগুলির সন্ধান করা। এদিকে, বিলাল তার পাকিস্তানি হ্যান্ডলারদের নির্দেশে ১৪ ই আগস্ট কুপওয়ারার ভিতরে মারকাজি জামিয়া মসজিদে পাকিস্তানি পতাকা উত্তোলনের কথাও স্বীকার করেছেন।
জানা গেছে যে ওয়াহিদ নিয়োগ এবং তহবিল মডিউলের পিছনে মাস্টারমাইন্ড ছিল।
পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, 'আটককৃতদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র, গোলাবারুদ, আইইডি ও অপরাধমূলক সামগ্রী প্রস্তুত করার কাঁচামাল উদ্ধার করা হয়েছে। এদের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করে (এফআইআর নং: ২৬৪/২২ ধারা ৭/২৫ অস্ত্র আইন, ১৩,১৮,২০,৩৮ ইউএ (পি) আইনের অধীনে) কুপওয়ারা থানা তদন্ত শুরু করেছে।