গতকাল তিনি বলেছিলেন,সম্প্রতি গুজরাটে বিদেশ থেকে আসা নির্যাতিত শিখ পরিবারগুলিকে নাগরিকত্ব দেওয়া হয়েছে। শিখরা যেখানেই থাকুক না কেন, ভারত তাদের আবাসস্থল।'
জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশনের চেয়ারপার্সন ইকবাল সিং লালপুরার বাসভবনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে মোদী বলেছিলেন,"সিএএ আইন এনে দেশভাগের শিকার হওয়া শিখ ও হিন্দু পরিবারগুলির নাগরিকত্বের পথ প্রশস্ত করার জন্য আমরা চেষ্টা করেছি।"
উল্লেখ্য, ২০২০-র দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকে সিএএ নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সিএএ নিয়ে যেটুকু মন্তব্য শোনা গিয়েছিল তা বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের মুখে। পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী সম্প্রতি সিএএ চালু নিয়ে কলকাতায় মন্তব্য করেছিলেন।
দেশ জুড়ে পালিত হচ্ছে শিখ ধর্মগুরু নানকের শুভ ৫৫৩ তম আবির্ভাব তিথি। আর এই দিনেই প্রধানমন্ত্রী দেশে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রয়োগের বিষয়ে কথা বললেন। গুরুনানক এর এই আবির্ভাব দিবসে নতুন দিল্লির এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কেন্দ্র এই আইন প্রণয়ন করেছে দেশভাগের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হিন্দু ও শিখ পরিবারগুলিকে সাহায্য করতে।
তিনি তার ভাষণে বলেন, দেশভাগের সময় পঞ্জাব ও দেশের জনগণের আত্মত্যাগের স্মরণে দেশ ভাগ স্মরণ দিবস পালন শুরু করেছে। দেশ ভাগের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হিন্দু ও শিখ পরিবারগুলিকে নাগরিকত্ব দেওয়ার জন্য সরকার সিএএ-র মাধ্যমে উপায় তৈরির চেষ্টা করেছে। গুজরাতের নির্যাতিত শিখ পরিবারগুলিকে নাগরিকত্ব দেওয়া হয়েছে। তারা আজ বুঝতে পেরেছেন, ভারত বিশ্বের যে কোনও জায়গায় বসবাসকারী শিখদের আবাসস্থল।