এইভাবে কেটে যায় বেশ কয়েকমাস।
হঠাৎ, পরিবারের কাছে একটি বেনামী চিঠি আসে। চিঠিতে তাকে হত্যার ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছিল। মেয়েটির বাবা চিঠিটি নিয়ে পুলিশের কাছে গিয়েছিলেন। এই চিঠির সূত্র ধরেই পুলিশ কিনারা করে রহস্যের। গ্রেপ্তার করা হয় প্রধান অভিযুক্ত পরমানন্দ সাহুকে। সে হত্যার কথা স্বীকার করে জানায় কোথায় মেয়েটিকে পুঁতে ফেলা হয়েছে।
পরে পুলিশ তাকে সঙ্গে নিয়ে মেয়েটির দেহটি একটি ধানক্ষেত থেকে বের করে আনে।
অভিযোগে জানা গেছে, সাহুর সঙ্গে ওই মেয়েটির সম্পর্ক ছিল এবং সে চার মাসের গর্ভবতী ছিল। গত ১০ মাস ধরে নিখোঁজ ছিল মেয়েটি।
নুয়াপাড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইন্দ্রমণি বেহেরা জানান, "বেনামে চিঠির ভিত্তিতে আমরা তদন্ত শুরু করি এবং অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে মূল অভিযুক্ত তাকে হত্যা করেছে বলে স্বীকার করেছে। মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা হওয়ায় ভয় পেয়ে যায় অভিযুক্ত। সে তাকে হত্যা করে প্রমান লোপের চেষ্টা করে। পরিকল্পনা অনুযায়ী মূল অভিযুক্ত তার সহযোগীদের সঙ্গে নিয়ে মেয়েটিকে টেলিফোনে নির্জন স্থানে ডেকে নিয়ে যায় এবং তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। পরে তারা মেয়েটির গ্রাম থেকে দুই কিলোমিটার দূরে অবস্থিত একটি ধানক্ষেতে পুঁতে দেয়।“