এফআইআর-এ বলা হয়েছে, নির্যাতিতা ও অভিযুক্ত লখনউয়ের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে নার্সিং কোর্স করছেন। দুজনেই আজকাল মল এলাকার সিএইচসিতে ইন্টার্নশিপ করছেন।
এডিসিপি পশ্চিম চিরঞ্জীব নাথ সিনহা বলেন, "অভিযুক্ত অভেন্দ্র সোনওয়ালি মেয়েটির সঙ্গে বন্ধুত্ব পাতায়। তার মোবাইল নম্বরও নেয়। তারপর হোয়াটসঅ্যাপ কলের মাধ্যমে মেয়েটির সঙ্গে কথা বলতে শুরু করেন। সে মেয়েটিকে বলেছিল যে সে তাকে ভালবাসে এবং তাকে বিয়ে করতে চায়, যদিও মেয়েটি তাতে সম্মতি দেয়নি। এরপর সে মেয়েটার ঘরে ঢুকে ছুরি দিয়ে খুন করার ভয় দেখিয়ে কিছু অশ্লীল ভিডিও তৈরি করে। এরপরমেয়েটিকে হুমকি দেয় যে তাকে বিয়ে করতে হবে অথবা পরিণতির মুখোমুখি হতে হবে।
সম্প্রতি, ছাত্রটি আবার মেয়েটিকে ভিডিও কল করে বলে যে সে যদি তাকে বিয়ে না কর তবে তার বাবা-মাকে হত্যা করা হবে। ভিডিও কলে মেয়েটিকে রক্ত দেখাতে বলে ওই অভিযুক্ত। অভেন্দ্র নির্যাতিতাকে একটি ব্লেড তুলতে বাধ্য করে এবং তার হাত ও বুক কেটে তাকে তার রক্ত দেখানোর জন্য বলে। সমস্ত ঘটনাটা সে মোবাইলে ভিডিও করে।
পরে সে ওই ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে পোস্ট করে। মেয়েটির বাবা-মায়ের কাছে খবরটি পৌঁছে যায়। এরপর, তারা এই বিষয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
চিরঞ্জীব নাথ সিনহা বলেন, 'সোমবার মেয়েটি পুলিশ ও জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে তার জবানবন্দি রেকর্ড করে, যার ভিত্তিতে আমরা তাকে গ্রেপ্তার করেছি।