স্থানীয় ও পরিবার সূত্র জানায়, হোসাইন আলীর বসতঘরের দুটি কক্ষের একটিতে শিশু আনাস, মা, খালা ও ফুপু ঘুমিয়েছিলেন। আরেকটি কক্ষে অন্য সন্তানদের নিয়ে হোসাইন আলী ঘুমান। বুধবার ফজরের নামাজ পড়ে মসজিদ থেকে বাড়ি ফেরার পথে মুসল্লিরা মাঝের ফাঁড়ি সেতুর নিচে শিশু আনাসের মরদেহ ভাসতে দেখেতে পান।
পরে সকাল ৮টার দিকে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
সুরাজপুর-মানিকপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আজিমুল হক বলেন, মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) রাতে শিশুটি মায়ের সঙ্গে ঘুমিয়েছিল। বাড়িতে বাবা, খালা ও ফুপু ছিলেন। কীভাবে শিশুটি মারা গেলো, কীভাবে তার মরদেহ ২০০ মিটার দূরে নদীতে গেল সেসব নিয়ে রহস্য তৈরি হয়েছে। পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মা-বাবাসহ চারজনকে থানায় নিয়ে গেছে।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চন্দন কুমার চক্রবর্তী বলেন, ওই শিশুর পরিবারের সদস্যরা ভোরে ঘুম থেকে জেগে দরজা খোলা দেখতে পান বলে পুলিশকে জানিয়েছেন। তবে কে দরজা খুলেছে তা জানাতে পারেননি।
তিনি বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন, শিশু আনাসের পরিবারের সদস্য ও আশপাশের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে মনে হয়েছে এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পরিবারের চারজনকে আটক করা হয়েছে।
ওসি আরও বলেন, প্রাথমিক তদন্তে এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে ওই বাড়িতে রাতে যারা ঘুমিয়েছিলেন তাদের কেউ জড়িত বলে মনে হয়েছে।