দীর্ঘদিন পর এই নৌকা বাইচ উপভোগ করতে বাগেরহাট ও গোপালগঞ্জ জেলার সব বয়সী নারী, পুরুষ ও শিশুদের আগমনে নদীর দু’পাড় মিলন মেলায় পরিণত হয়। অনেকে নৌকা ভাড়া করে পরিবার ও আত্মীয়দের সঙ্গে নিয়ে বাইচ উপভোগ করেন।
টুঙ্গিপাড়ার পাটগাতী গ্রামের তরিকুল ইসলাম (৩৫) বলেন, মধুমতি নদীতে নৌকা বাইচ দেখতে পেয়ে আমরা আনন্দিত। দীর্ঘদিন পর একটি চমৎকার নৌকা বাইচ উপভোগ করলাম।
বাগেরহাট থেকে আসা টনি শিকদার (৩০) বলেন, পরিবারের সাথে নৌকা বাইচ উপভোগ করে খুব ভালো লাগলো। তিনি এমন এমন উদ্যোগ নেওয়ার জন্য আয়োজকদের ধন্যবাদ জানান।
বাগেরহাট-২ আসনের সংসদ সদস্য শেখ সারহান নাসের তন্ময়ের উদ্যোগে শনিবার বিকালে প্রতিযোগিতায় প্রধান অতিথি ছিলেন, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির উপদেষ্টা কাজী আকরাম উদ্দিন আহমদ।
অতিথি হিসাবে নৌকা বাইচ উপভোগ করেন, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন, সাবেক সিনিয়র সচিব শহীদ উল্লা খন্দকার, বাগেরহাট-১ আসনের সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দিন ও তার স্ত্রী রুপা চৌধুরী, খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য শেখ সালাহউদ্দিন জুয়েল, অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক হাবিবুর রহমান, গোপালগঞ্জ পুলিশ সুপার আয়েশা সিদ্দিকা, বাগেরহাট পুলিশ সুপার কে. এম আরিফুল হক।
টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ আবুল বাশার খায়েরের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক বাবুল শেখের তত্ত্বাবধানে এ বাইচ অনুষ্ঠিত হয়।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বাবুল শেখ বলেন, জেলার বিভিন্ন নদীতে স্থানীয়ভাবে নৌকা বাইচ অনুষ্ঠিত হলেও বিগত ২৫ বছরে টুঙ্গিপাড়ার মধুমতি নদীতে কোনো নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা হয়নি।
প্রতিযোগিতায় গ্রুপ-এ থেকে প্রথম স্থান অধিকার করেন গোপালগঞ্জ জেলার কোটালিপাড়ার কালিপদ তালুকদারের নৌকা, দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেন টুঙ্গিপাড়ার অংশপতি বৈরাগির নৌকা ও তৃতীয় হয় মাদারীপুর জেলার অমিত বৈদ্য’র নৌকা।
গ্রুপ-বি থেকে প্রথমস্থান অধিকার করেন টুঙ্গিপাড়ার ভাই ভাই জলপরি নৌকা, ২য় স্থান অধিকার করেন একই এলাকার জয় মা কালি নৌকা ও তৃতীয় স্থান অধিকার করেন মা দূর্গা নৌকা।
আরও জানা যায়, গ্রুপ-সি থেকে অংশ নেয়া নারী দলের মধ্যে প্রথম হয়েছেন টুঙ্গিপাড়া, দ্বিতীয় ও তৃতীয় হয়েছেন কোটালিপাড়ার দুটি নারী দল।
নৌকা বাইচ শেষে সন্ধ্যায় প্রধান বিজয়ী দলকে ১ লক্ষ টাকা, দ্বিতীয় দলকে ৬০ হাজার টাকা, তৃতীয় দলকে ৪০ হাজার টাকাসহ বিশেষ সম্মাননা প্রদান করা হয়। এছাড়া বাইচে অংশ নেওয়া প্রতিটি দলকেই ১০, ১৫ ও ২০ হাজার টাকা করে পুরস্কার প্রদান করা হয়।