সেটা কি আদৌ সম্ভব? কিন্তু, সম্প্রতি প্রকাশিত একটি সংবাদ সেই আশংকাকে একেবারে উড়িয়ে দিচ্ছে না। একটি খবর থেকে জানা গেছে, ফ্রান্সের বিজ্ঞানীরা রাশিয়ার একটি হিমায়িত হ্রদের নিচে চাপা পড়া ৪৮,৫০০ বছরের পুরনো জম্বি ভাইরাসকে পুনরুজ্জীবিত করেছেন। নিউ ইয়র্ক পোস্টের খবরে বলা হয়েছে, ফরাসি বিজ্ঞানীরা 'জম্বি ভাইরাস' পুনরুজ্জীবিত করার পর আরও একটি মহামারীর আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।
গবেষণায় বলা হয়েছে, এই প্রাচীন অজানা ভাইরাসের পুনরুজ্জীবনের কারণে উদ্ভিদ, প্রাণী বা মানুষের রোগের ক্ষেত্রে পরিস্থিতি আরও বেশি ভয়ানক হতে পারে।
নিউ ইয়র্ক পোস্টের মতে, বিজ্ঞানীরা, সম্ভবত অদ্ভুতভাবে, এই তথাকথিত "জম্বি ভাইরাসগুলি" সাইবেরিয়ান পারমাফ্রস্ট থেকে পুনরুজ্জীবিত করেছেন। উল্লেখ্য, প্রাচীনতম, প্যান্ডোরাভাইরাস ইডোমা, ৪৮,৫00 বছর বয়সী ছিল। এই হিমায়িত ভাইরাস এমন একটি ফর্মে ফিরে আসতে পারে, যেখানে এটি অন্যান্য প্রাণীকে সংক্রামিত করতে পারে। এই আবিষ্কার ২০১৩ সালে সাইবেরিয়ায় আবিষ্কৃত ৩০,০০০ বছরের পুরানো ভাইরাসের রেকর্ডটি ভেঙে দিয়েছে। ওই একই বিজ্ঞানীরা এই ভাইরাসকে সনাক্ত করেছিল।
জানা গেছে, নতুন স্ট্রেনটি গবেষণায় বর্ণিত ১৩ টি ভাইরাসের মধ্যে একটি, যার প্রত্যেকটির নিজস্ব জিনোম রয়েছে। রাশিয়ার ইয়াকুটিয়ার ইউকেচি আলাসের একটি হ্রদের তলদেশে প্যান্ডোরাভাইরাস আবিষ্কৃত হলেও, ম্যামথ পশম থেকে সাইবেরিয়ান নেকড়ে অন্ত্র পর্যন্ত সর্বত্রই অন্যান্য গুলি আবিষ্কৃত হয়েছে।
বিজ্ঞানীরা বলছেন যে, সমস্ত "জম্বি ভাইরাস" সংক্রামক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে যা পরে "স্বাস্থ্য বিপদ" তৈরি করতে পারে। নিউ ইয়র্ক পোস্ট রিপোর্ট করেছে যে নতুন গলে যাওয়া ভাইরাসটি কেবল এপিডেমিওলজিক্যাল হিমশৈলের চূড়া হতে পারে কারণ সম্ভবত আরও হাইবারনেটিং ভাইরাস এখনও আবিষ্কৃত হয়নি। আলো, তাপ, অক্সিজেন এবং অন্যান্য বাইরের পরিবেশগত ভেরিয়েবলগুলির সংস্পর্শে আসার সময় এই অজানা ভাইরাসগুলির সংক্রামকতার মাত্রা নির্ধারণের জন্য আরও গবেষণা প্রয়োজন।