সরকারী নিয়মকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে কীভাবে তাদের নাম উঠলো, কীভাবে তারা বাড়ি বানিয়ে ফেললেন, সবই এখন আতস কাচের তলায়। রাজ্য সরকার এ ব্যাপারে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। দেখা যাচ্ছে, রাজ্যের বহু পুরসভাতে এ ধরণের বহু মানুষ আছেন, যাদের বাড়ি থাকা সত্বেও সরকারী প্রকল্পের সুযোগ নিয়েছেন, তারপর সেই বাড়ি ভাড়া দেওয়ার ব্যবসা চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
এদিকে, এই যোজনা সংক্রান্ত সমীক্ষায় গিয়ে যদি সরকারি কর্মীরা আক্রান্ত হন আর তা যদি রাজ্য পুলিশ দিয়ে সামাল দেওয়া না যায় তাহলে রাজ্য চাইলে বাংলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠানোর প্রস্তাব দিয়েছে কেন্দ্রিয় সরকার। তবে, নবান্ন, এই প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়ে বলেছে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। দুই এক জায়গায় আক্রান্তের ঘটনা ঘটলেও পুলিশ দ্রুত পদক্ষেপ করেছে। দোষীরাও গ্রেফতার হয়েছে।
অভিযোগ উঠেছে, এই প্রকল্পের বে-আইনিভাবে সুযোগ নেওয়ার তালিকাটা নেহাত কম নয়, শুধু রাজ্যের শাসক দলের লোকজন নয়, সব দলেরই লোকজন রয়েছে বে-আইনিভাবে বাড়ি প্রাপকদের তালিকায়। তাই সমীক্ষায় গেলেই মারমুখী হয়ে উঠছেন বাড়ির লোকজন। তবে, সাধারণ মানুষের দাবি, এদের চিহ্ণিত করে কড়া ব্যবস্থা নিলে সরকারের মুখ যেমন উজ্জ্বল হবে, তেমনই প্রকৃত দাবিদাররা উপকৃত হবেন। অভিযোগে জানা গেছে, বাড়িতে ফ্রিজ, কালার টিভি, বাইক থাকা সত্বেও এই প্রকল্পের বাড়ির জন্য আবেদন করেছেন বহু মানুষ, আবার আবেদন করেননি, অথচ তার নামে আবেদন জমা পড়েছে, এরকম অভিযোগও সামনে আসছে।
জানা গেছে, কেন্দ্র সরকার এই প্রকল্পের জন্য ইতিমধ্যে ৮ হাজার ২০০ কোটি টাকা পাঠিয়েছে বাংলায়। দিয়েছে ১৫ দফা শর্ত। সেই শর্ত মেনেই আগামী ৩ মাসের মধ্যেই বাংলায় ১১ লক্ষ বাড়ি নির্মাণের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে হবে রাজ্য আর সেই শর্ত মানতে গিয়েই রাজ্য সরকার আবাস যোজনার জন্য তালিকায় নাম ওঠা ব্যক্তিদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে সমীক্ষার কাজ শুরু করেছে। অন্যদিকে দাবি উঠেছে, এর আগে এই প্রকল্পের আওতায় যারা বাড়ি পেয়েছেন, তাদের অনেকের নিজের বাড়ি রয়েছে। এমনকি, এই প্রকল্পের আওতায় পড়েন না, এরকম বহু ব্যক্তি সুযোগ পেয়েছেন।