নিহতরা হলেন, ভূঞাপুরের আগতেরিল্যা গ্রামের আলমগীর হোসেনের স্ত্রী লাবনী (৩০), একই গ্রামের সনজব আলীর মেয়ে জান্নাতি (৫ মাস) এবং অজ্ঞাত এক নারী (৩০)।
আহতরা হলেন, আগতেরিল্যা গ্রামের তুলা মিয়ার ছেলে মোঃ হুমায়ন (৩৫), সনজব আলীর স্ত্রী সালেহা বেগম (৪০), মোঃ নাসির উদ্দিন (৫০) এবং ৩০ বছরের অজ্ঞাত নারী ও তিন বছরের শিশু।
বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার মোঃ আব্দুল কাদের জানান, বেলা ১১টা ৫০ মিনিটে ২৫৪ ডাউন লোকাল ট্রেনটি বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব স্টেশন থেকে ময়মনসিংহের উদ্দেশে রওনা হয়। দুপুর ১২টার দিকে ভূঞাপুর উপজেলার ড্যাপাকান্দি নামক স্থানে অরক্ষিত রেলক্রসিংয়ে ট্রেনটি ব্যাটারি চালিত অটোরিকশায় ধাক্কা দেয়।
আগতেরিল্যা গ্রামের মোঃ রফিকুল ইসলাম জানান, তাদের গ্রাম থেকে সাত জন যাত্রী নিয়ে অটোরিকশাটি ভূঞাপুর উপজেলা সদরের দিকে যাচ্ছিল। অটোরিকশাটি রেলক্রসিংয়ে উঠার পর ট্রেন ধাক্কা দেয়। বেশ কিছু দূর হিঁচড়ে নিয়ে যায় অটোরিকশাটি। স্থানীয়রা এসে হতাহতদের উদ্ধার করে।
তিনি আরও জানান, আহত পাঁচ জনকে প্রথমে ভূঞাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর তাদের টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে হুমায়ন নামক একজনের অবস্থার অবনতি হলে বিকেলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়।
স্থানীয় হানিফ মিয়া জানান, একই স্থানে আন্তঃনগর ট্রেনে কখনও দুর্ঘটনা ঘটেনি। তবে লোকাল ট্রেন হর্ন না দেওয়ার কারণে মাঝে-মধ্যে দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনায় অনেক মানুষ, গবাদিপশু মারা যায়। ওই স্থানে গেটম্যানের দাবি জানান তিনি।
ভূঞাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরিদুল ইসলাম তিন জন নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, এ দুর্ঘটনার ব্যাপারে আইনি প্রক্রিয়া গ্রহণ করবে রেলওয়ে পুলিশ। লাশ উদ্ধার করে পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে।
এ দুর্ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে পাঁচজন নিহত হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছিল। হতাহতদের স্থানীয়রা এবং তাদের স্বজনরা দুটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ায় মৃত্যুর সংখ্যা নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়।
