জানা যায়, ব্রাজিলের সাওপাওলো থেকে এমিরেটস এয়ারলাইন্সের পিকে-৫৮২ নম্বর ফ্লাইটে করে জেইমের ভারতে যাওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু রুট পরিবর্তন করে ২০১৫ সালের ১ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে আটটার দিকে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ফ্লাইটটি আসে। বিমানবন্দরের শুল্ক কর্মকর্তারা প্রথম দফায় জেইমের সঙ্গে থাকা মালামাল তল্লাশি করে কিছুই পাননি। পরে আইডিএআর এর তথ্যের বিষয়টি শুল্ক কর্মকর্তাদের জানানো হলে দ্বিতীয় দফা তল্লাশি চালিয়ে জেইমের পরনে থাকা জ্যাকেট কেটে তার ভেতর থেকে দুই কেজি কোকেন উদ্ধার করা হয়। এই কোকেনের আনুমানিক দাম প্রায় ৫২ কোটি টাকা।
এ ঘটনায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক মোহাম্মদ ওবায়দুল কবির বিমানবন্দর থানায় মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করে ওই বছরের ২ ডিসেম্বর তিন জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা অধিদপ্তরের পরিদর্শক মোফাজ্জল হোসেন। ২০১৬ সালের ৭ এপ্রিল আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরু করেন আদালত। মামলার বিচার চলাকালে আদালত চার্জশিটভুক্ত ১০ জন সাক্ষীর মধ্যে ৮ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন।