জানা গেছে, নিহত গৃহবধূ সুফি বেগম (৫০) বাঘঝাপা গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য ইউসুফ আলী মোল্লার স্ত্রী। এ ঘটনায় অভিযুক্ত দেবর অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য লিয়াকত মোল্লাকে ঢাকায় আটক করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, উপজেলার সাজাইল ইউনিয়নের বাঘঝাপা গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য ইউসুফ আলী মোল্লার সাথে তার আপন ভাই অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য লিয়াকত মোল্লার দীর্ঘদিন ধরে পৈতৃক সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এর আগেও তিনি তার ভাবির মাথার চুল কেটে দিয়েছিলেন। পরে সালিশ-মীমাংসা করে সেবার তা মিটিয়ে নেয়া হয়।
তারা আরও জানান, মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে সুফি বেগমকে বাড়ির উঠানের পেয়ারা গাছের সাথে বেঁধে গায়ে আগুন ধরিয়ে দেন দেবর লিয়াকত মোল্লা। সুফির চিৎকারে প্রতিবেশীরা এসে গায়ে পানি ঢেলে আগুন নিভিয়ে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।
কাশিয়ানী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা.মঃ আমিনুল ইসলাম জানান, দগ্ধ সুফি বেগমের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় সঙ্গে সঙ্গে তাকে ঢাকায় রেফার করা হয়। বুধবার ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। মৃত্যুর আগে সুফি দেবর লিয়াকতসহ তিনজন তার গায়ে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রতিবেশীরা। ইতোমধ্যে ঢাকা থেকে ঘাতক দেবর লিয়াকতকে আটক করেছে পুলিশ।
কাশিয়ানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ফিরোজ আলম জানান, ঘটনার পর অভিযুক্ত দেবর লিয়াকত মোল্লা বাড়ি থেকে পালিয়ে যান। পরে অভিযান চালিয়ে ঢাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করেছে কাশিয়ানী থানা পুলিশ।