হা-ডু-ডু খেলা শেষে চ্যাম্পিয়ন দলকে ১ লাখ টাকা এবং রানার্সআপ দলকে ৫০ হাজার টাকা পুরস্কার দেওয়া হয়। দুদলকেই ট্রফি দেয়া হয়।
পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে রামপাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজিবুল আলম, রামপাল উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শেখ আবু সাইদ, বাঁশতলি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান সোহেল, ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম টুকু, জাহাঙ্গীর বাদশাসহ স্থানীয় গণ্যমান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
দীর্ঘদিন পরে গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী হা-ডু-ডু খেলা দেখতে স্থানীয়দের ছিল উপচেপড়া ভিড়। বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে বিভিন্ন এলাকার প্রায় পাঁচ সহস্রাধিক নানা বয়সী মানুয় এই খেলা উপভোগ করেছেন।
করতালির মধ্য দিয়ে খেলোয়াড়দের উৎসাহ দিয়েছেন তারা। হৈ-হুল্লোড়ে মাঠ কাঁপিয়েছেন শিশু কিশোররা। বাঁশতলী ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোগে এত বড় অয়োজনে খুশি স্থানীয়রা।
রামপাল বাঁশতলি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান সোহেল জানান, খেলায় বাঁশতলী, গিলাতলা, ফকিরহাট, বটিয়াঘাটা, ঝালকাঠি, ইসলামাবাদ যুবসংঘ, ডেমা, ভোজপাতিয়া স্থানের আটটি দল অংশগ্রহণ করে। ফাইনাল খেলায় বাঁশতলি ইউনিয়ন পরিষদ দল গিলাতলাকে ২-১ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে।
আবদুল ছত্তার শেখ নামে এক বৃদ্ধ বলেন, একটা সময় ছিল প্রতিটি গ্রামে হা-ডু-ডু খেলা হতো এখন আর হা-ডু-ডু খেলা তেমন দেখা যায় না। দীর্ঘদিন পরে বিভিন্ন স্থান থেকে আসা খেলোয়াড়দের খেলা দেখতে আমাদের ভালো লেগেছে। আমরা চাই এমন হা-ডু-ডু খেলার আয়োজন আগামীতেও হোক।