জানা গেছে, সোমবার থেকে মঙ্গলবারের মধ্যে ওই মা তার মেয়েকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে এবং প্রেমিকের সহায়তায় মেয়েটির মৃতদেহটি বিছানার চাদরে মুড়ে রাখে। এরপর তারা শ্রীগঙ্গানগর স্টেশনে যান, ট্রেনে ওঠেন এবং চলন্ত ট্রেন থেকে দেহটি ছুঁড়ে ফেলে দেন।
পুলিশ জানিয়েছে, সন্দেহভাজন সুনীতা ও সানি ওরফে মাল্টাকে আটক করা হয়েছে। সুনীতা তার মেয়েকে হত্যার কথা স্বীকার করার পরে দুই অভিযুক্তকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
শ্রীগঙ্গানগরের পুলিশ সুপার আনন্দ শর্মা সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে বলেন, "ওই মহিলা তার মেয়ে কিরণকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে, সানির সহায়তায় তার দেহটি বিছানার চাদরে মুড়ে শ্রীগঙ্গানগর রেলস্টেশনে চলে যায়।
তিনি আরও বলেন, 'সকাল ৬টা ১০ মিনিটে তারা একটি ট্রেনে ওঠেন এবং ফাতুহি রেলস্টেশনের সামনে একটি খালের ওপর একটি সেতুতে পৌঁছালে চলন্ত ট্রেন থেকে মৃতদেহটি ফেলে দেন। মৃতদেহটি রেললাইনের কাছাকাছি পড়ে যায়। মৃতদেহটি খালে ফেলে দেওয়ার পরিকল্পনার ছিল তাদের। বৃহস্পতিবার ভোরে মৃতদেহটি উদ্ধার করা হয়।
তাঁর স্বামী পাঁচ সন্তানের মধ্যে তিনজনকে নিয়ে বাড়িতে থাকেন, সুনীতা শাস্ত্রী নগরে সানি ও তাঁর দুই সন্তানকে নিয়ে থাকেন। শিশুটিকে সনাক্ত করার পরে পুলিশ সুনীতাকে খুঁজে বের করে এবং তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠায়। জিজ্ঞাসাবাদে সে তার মেয়েকে হত্যার কথা স্বীকার করে, যার ভিত্তিতে দুই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়।