কিন্তু কে এই ছক সম্রাট। পুলিশের নজরদারী আর তদন্তে উঠে এল একটি নাম। দেবব্রত কর্মকার, স্পেশাল ব্রাঞ্চের পুলিশ কনস্টেবল। তিনি নিজে সিবিআই অফিসার সেজে ডাকাতদের ট্রেনিং দিয়েছিলেন। কীভাবে কী করতে হবে।
উল্লেখ্য, গত ১২ ডিসেম্বর রাতে ভবানীপুরের এক ব্যেবসায়ীর ফ্ল্যাকটে সিবিআই আধিকারিক সেজে প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা নগদ ও গয়না হাতিয়ে নিয়ে চলে যায় বেশ কয়েকজন। তদন্তে জানা যায়, গোটা ঘটনায় সিবিআই নয়, ওই ব্যবসায়ীর এক প্রতিদ্বন্দ্বী যুক্ত। জানা যায়, ডাকাতির মূল পান্ডা রাকেশ মণ্ডলে নামে এক ব্যক্তি। মোট বারোজনকে গ্রেফতার করা হয় এই ঘটনায়।
এরপর লাগাতার জিজ্ঞাসাবাদ। ধৃত রাকেশ ও বাকিদের কাছে জানা যায় রাকেশের ‘পুলিশ বউ’য়ের কথা আর উঠে আসে এক ‘দেবুদা’র নাম। তদন্তে জানা গেল, ওই ‘পুলিশ বউ’ আসলে ব্যারাকপুর কমিশনারেটের এক মহিলা কনস্টেবল। আর তার অ্যা কাউন্টেই ডাকাতির সমস্ত টাকা জমা পড়েছিল। এরপর শুরু হয় দেবুদার খোঁজ।
শেষ পর্যন্ত পুলিশ জানতে পারে যে, ওই ‘দেবুদা’ আসলে স্পেশ্যাল ব্রাঞ্চের পুলিশ কনস্টেবল দেবব্রত কর্মকার। টানা দেড় মাস তাকে নজরে রাখার পর, জানা যায় ওই ডাকাতির মাস্টারমাইন্ড কে।
জানা গেছে, দেবব্রতর সঙ্গে যোগাযোগ ছিল এক ব্যকবসায়ীর। আর সেই তিনিই ছিলেন ভবানীপুরের অভিযোগকারী ব্যবসায়ীর ব্যবসায়িক প্রতিদ্বন্দ্বী। তার মারফতই ভবানীপুরে ফ্ল্যা টে রাখা টাকা ও গয়নার হদিস পান দেবব্রত।
এরপর ডাকাতির ছক কষা হয়। একই সঙ্গে চলে সিবিআই সাজার প্রশিক্ষণ। এরপর গত বছর অক্টোবরে পুলিশকর্মী দেবব্রতর পরামর্শে রাকেশ নকল সিবিআই টিম তৈরি করে। দেবব্রতই সকলকে পুলিশি আদবকায়দা শেখান বলে অভিযোগ। প্রায় দেড় মাস কড়া নজরদারি ও সিসিটিভি ফুটেজ দেখে অবশেষে গ্রেফতার করা হল ডাকাতির মাস্টারমাইন্ড পুলিশকর্মী দেবব্রতকে।
প্রতীকি ছবি