তুরস্কে মৃতের সংখ্যা আটগুণ বাড়তে পারে, হতে পারে ৩৫০০০, ছড়াতে পারে ভাইরাসঃ আশংকায় WHO

ভয়েস ৯, ইন্টারন্যাশানাল ডেস্কঃ একদিকে, হাজার হাজার ভেঙ্গে পড়া বাড়ি, তার মধ্যে আটকে থাকা মানুষ, জীবিত কিংবা মৃত, আর তার উপর নিরাশ্রয় মানুষের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া তুষার ঝড়। সবমিলিয়ে এক বিক্ষুব্ধ প্রকৃতির সঙ্গে লড়াই করে শেষ পর্যন্ত মৃত্যুর সংখ্যাটা কোথায় পৌছায়, তা নিয়েই আশংকা প্রকাশ করেছেন ডব্লিউএইচওর (WHO) সিনিয়র জরুরি এমার্জেন্সি অফিসার ক্যাথরিন স্মলউড। 
তিনি বলেছেন, “আমরা প্রাথমিক নিহতের সংখ্যায় আটগুণ বৃদ্ধির সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছি”। সিরিয়ার সীমান্ত থেকে প্রায় ৬০ কিলোমিটার দূরে তুরস্কের শহর গাজিয়ানটেপের কাছে প্রায় ১৮ কিলোমিটার (১১ মাইল) গভীরতায় সোমবার ভোর ০৪.১৭ মিনিটে (০১.১৭ GMT) ৭.৮ মাত্রার ভূমিকম্পটি আঘাত হানার পর থেকে, মৃতের সংখ্যা দ্রুতগতিতে বেড়েছে। আজ সকালে এই সংখ্যা দাঁড়ায় প্রায় ৫,০০০। 
এখন, উদ্ধারকারীরা হাজার হাজার ধসে পড়া বাড়ির ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে থাকা জীবিতদের খুঁজে বের করতে একটানা লড়াই করছে।
অন্যদিকে, তুরস্কের সানলিউরফা শহরে ভয়াবহ ভূমিকম্পে বেঁচে যাওয়া মানুষগুলো আর এক সমস্যার মুখোমুখি। সেটা হলো ক্ষুধা। তুরস্কের সানলিউরফা শহরে ভয়াবহ ভূমিকম্পে বেঁচে যাওয়া মানুষগুলো একটি অদৃশ্য কিন্তু শক্তিশালী হুমকির সম্মুখীন হয়েছে- ক্ষুধা। 
সকালের আলোয় যখন চারিদিক আলোকিত, সানলিউরফার রাস্তাগুলি ফাঁকা দেখায়। পারদ কেবল হিমাঙ্কের ঠিক উপরে। তখন মনে হয়, এ যেন এক মৃত্যুপুরী। 
 এদিকে, তুরস্ক ও উত্তর-পশ্চিম সিরিয়ায় ভয়াবহ ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য অর্থ, গরম কাপড় ও কম্বল পাঠানোর কাজ শুরু করেছে জার্মানির তুর্কি ও কুর্দি সম্প্রদায়। জানা গেছে, জার্মানিতে তুর্কি বংশোদ্ভূত প্রায় ২.৩ মিলিয়ন লোক রয়েছে, যা বিশ্বের বৃহত্তম তুর্কি প্রবাসী সম্প্রদায়। জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালেনা বেয়ারবক বলেছেন, জার্মানি মাল্টিসার ইন্টারন্যাশনাল এইড গ্রুপকে অতিরিক্ত এক মিলিয়ন ইউরো দেবে এবং সিরিয়ায় ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তার জন্য অন্যান্য মানবিক অংশীদারদের আরও আর্থিক সহায়তা দেওয়ার জন্য কাজ করছে। 
আজ বার্লিনে আর্মেনিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরারাত মিরসোজানের সঙ্গে এক সাংবাদিক সম্মেলনে বেয়ারবক বলেন, জার্মানিও সিরিয়ায় মানবিক প্রবেশাধিকারের জন্য চাপ দিচ্ছে। উদ্ধারকারীরা বলেছেন, বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত উত্তর-পশ্চিম সিরিয়ায় হোয়াইট হেলমেটস নামে পরিচিত সংগঠনটির উদ্ধার প্রচেষ্টার জন্য আন্তর্জাতিক গোষ্ঠীগুলোর জরুরি সহায়তা প্রয়োজন। 
উদ্ধারকর্মী রায়েদ আল সালেহ রয়টার্সকে বলেন, “আমরা সকল মানবিক সংস্থাকে জরুরি ভিত্তিতে এই দুর্যোগ মোকাবেলায় সহায়তা ও সাড়া দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।“

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Top Post Ad

Below Post Ad