তাদের কথায়, সকলেই সরকারী চাকরি করেন না, সকলেই বড় বড় ব্যবসা করেন না, সকলেই ধনী কৃষক নন, সকলেই কর্পোরেট সংস্থার চাকুরে নন, অথচ, সেই সাধরণ রোজগারের মানুষদের উপর ক্রমশঃ বাড়ছে বোঝা।
যাদের আয় বেশি, তারা ঠিক সামলে নেবে, কিন্তু এর মাঝে রয়ে গেছেন কয়েক কোটি মানুষ। যাদের চাকরি নেই, থাকলেও ৪ অঙ্কের বেতন। এরা কী করবে কেন্দ্রের সে ভাবনা নেই। একদিকে পেটে মারার চেষ্টা – এই অবস্থায় সাধারণ নিম্ন আয়ের মানুষের উপর বোঝা বাড়িয়ে বাড়িয়ে দেওয়া হল রান্নার গ্যাসের দাম।
একটা সময়, বাড়ানো হয়েছিল পেট্রোল ও ডিজেলের দাম। বিভন্ন রাজ্য সরকার তাদের প্রাপ্য সেস কমিয়ে জনগণকে সুরাহা দিতে চেয়েছিল। কিন্তু, তাতেও বন্ধ করা যায়নি মূল্যের উর্ধগতি। জানুয়ারি মাসে খুচরোর মূল্যবৃদ্ধি ছিল ৬.৫২ শতাংশে পৌঁছে গিয়েছিল।
খাদ্যদ্রব্যের দাম আগের মাসের তুলনায় ৪০ শতাংশ বেড়েছিল ৪০ শতাংশ।
জানা গেছে, গত মাসে রান্নার গ্যাসের ১৪.২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ছিল ১০৭৯ টাকা। এই মাসে এক ধাক্কায় ৫০ টাকা বাড়িয়ে তা করা হয়েছে ১ ২৯ টাকা।
শুধু ভর্তুকিযুক্ত রান্নার গ্যাসের দামই নয়, বেড়েছে বাণিজ্যিক গ্যাসের দামও। সিলিন্ডার পিছু ৩৫২ টাকা। দাম হয়েছে ২২২১ টাকা ৫০ পয়সা। আগের মাসে ১৯ কেজির সিলিন্ডারএর দাম ছিল ১৮৬৯ টাকা ৫০ পয়সা।
গার্হস্থ্য গ্রাহকদের জন্য সিলিন্ডার প্রতি ৫০ টাকা এবং বাণিজ্যিক গ্রাহকদের জন্য সিলিন্ডার প্রতি ৩৫০.৫০ টাকা বাড়ানো হয়েছে।
চেন্নাইয়ে রান্নাঘরে ব্যবহৃত গ্যাসের নতুন দাম হয়েছে সিলিন্ডার প্রতি ১,১১৮.৫০ টাকা এবং রেস্তোঁরা ও শিল্পে ব্যবহৃত বাণিজ্যিক মূল্য ২,২৬৮ টাকা। দিল্লিতে প্রতি ঘরোয়া সিলিন্ডারের খুচরা বিক্রয় মূল্য ১,১০৩ টাকা এবং বাণিজ্যিক সিলিন্ডারের দাম ২,১১৯.৫০ টাকা।
সর্বশেষ ২০২২ সালের জুলাই মাসে দেশীয় সিলিন্ডারের দাম সংশোধিত হয়েছিল।
স্বভাবতইঃ ক্ষোভ বাড়ছে সাধারণ মানুষের । সামনের বছরেই লোকসভার ভোট। একদিকে বাজেট দিয়ে জনতার মনোরঞ্জন করে , ঘুরপথে আরো বোঝা চাপাচ্ছে কেন্দ্রিয় সরকার।