দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থান করা অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সাগর বেশ উত্তাল। টেকনাফে পাঁচ থেকে সাত ফুট উঁচু জলোচ্ছাসের আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলায় প্রস্তুতি নিয়েছে স্থানিয় প্রশাসন।
গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচলের পাশাপাশি গভীর সাগরে না যেতে বলা হয়েছে। একাধিক ট্রলার ও স্পীড বোটে টেকনাফের আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে সেন্টমার্টিন দ্বীপের বাসিন্দাদের।
এদিকে, মাছ ধরার ট্রলারগুলো উপকূলে ফিরতে শুরু করলেও সমুদ্রে গোসল করতে নামায় ভাটা পড়েনি। গরম উপেক্ষা করে কিছু পর্যটক কক্সবাজারে অবস্থান করছেন।
সম্ভাব্য দুর্যোগ বিবেচনায় সৈকতে আসা পর্যটকদের সতর্ক করছে টুরিস্ট পুলিশ ও জেলা প্রশাসন।
চট্টগ্রামে সাগর উত্তাল থাকলেও ঘুর্ণিঝড়ের এখনো তেমন প্রভাব নেই। মোখার সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় প্রস্তুতি নিয়েছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন ও সিটি করপোরেশনও। সব সাইক্লোন শেল্টার ও মুজিব কিল্লাগুলোকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। প্র
স্তুত রাখা হয়েছে রেড ক্রিসেন্টের ২৭ হাজার স্বেচ্ছাসেবক। উপকুলীয় বেড়িবাঁধগুলো রক্ষায় কাজ করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
ঘূর্ণিঝড়ের গতিপ্রকৃতির বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী সার্বক্ষণিক নজর রাখছেন এবং মোকাবেলায় প্রস্তুতি সম্পর্কে দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী। জানান, চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজারে নেয়া হয়েছে পর্যাপ্ত প্রস্তুতি।
ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাধের কারণে চরম আতংকে সাতক্ষীরা উপকূলের মানুষও। জেলায় প্রস্তুত রাখা হয়েছে আটশ ৮৭টি সাইক্লোন সেন্টার কাম আশ্রয়কেন্দ্র। দুর্যোগের সময় মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যেতে চলছে প্রচার কার্যক্রম।
নাজুক বেড়িবাঁধের কারণে ঝুঁকিতে বরগুনার লক্ষাধিক মানুষ। আতঙ্কে কাটছে তাদের দিন।
মোখা মোকাবেলায় প্রস্তুতি নিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড ও জেলা প্রশাসন।
মোংলা উপকুলেও নানা প্রস্তুতি নিয়েছে বন্দর কতৃপক্ষ, কোস্টগার্ড পশ্চিমজোন ও সুন্দরবন বিভাগ। জলেদের নিরাপদ আশ্রয়ে অবস্থান নিতে প্রচার কার্যক্রম চালাচ্ছে কোস্টগার্ড।