আজও উদ্ধার অভিযান অব্যাহত থাকায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২১ জনে। নিহতদের মধ্যে নারী ও শিশুও রয়েছে। ক্রীড়ামন্ত্রী ভি আব্দুরাহীমান জানিয়েছেন, বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ২০ জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। আবদুরআহিমান জানান, আশঙ্কাজনক অবস্থায় চারজনকে কোট্টাক্কাল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নৌকাটিকে তীরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে এবং ভেতর থেকে আরও মৃতদেহ উদ্ধার করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। আবদুর রহমান বলেন, নিহতদের মধ্যে অনেকেই নারী ও শিশু, যারা চলমান স্কুল ছুটির মধ্যে ঘুরতে এসেছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিহতদের প্রতি গভীর শোক প্রকাশ করেছেন এবং নিহতদের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা করে অনুদান দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন। তিনি এক টুইটে লিখেছেন, "কেরালার মালাপ্পুরমে নৌকা দুর্ঘটনায় প্রাণহানির ঘটনায় আমি মর্মাহত। শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই। পিএমএনআরএফ (প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় ত্রাণ তহবিল) থেকে প্রত্যেক নিহতের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা করে অনুদান দেওয়া হবে।"
কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীও এই দুর্ঘটনায় প্রাণহানির ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন।
এক টুইটবার্তায় তিনি বলেন, 'কেরালার মালাপ্পুরমে একটি হাউসবোট ডুবে যাওয়ার খবরে আমি মর্মাহত। যারা তাদের প্রিয়জনকে হারিয়েছেন তাদের প্রতি আমার আন্তরিক সমবেদনা এবং আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি।
তিনি বলেন, "আমি কংগ্রেস কর্মীদের উদ্ধার অভিযানে কর্তৃপক্ষকে সহায়তা করার আহ্বান জানাচ্ছি। তিরুর, থিরুরাঙ্গাদি, পেরিন্থালমান্না হাসপাতাল এবং মানচেরি মেডিকেল কলেজে থ্রিসুর ও কোঝিকোডের মতো জেলা থেকে চিকিৎসকসহ পর্যাপ্ত কর্মী এনে ময়নাতদন্ত করা হবে।
বিবৃতিতে বলা হয়, মন্ত্রী সকাল ৬টা থেকে এবং সম্ভব হলে বেসরকারি হাসপাতালগুলোতেও ময়নাতদন্তের কঠোর নির্দেশ দিয়েছেন।
এর আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় আবদুর রহমান বলেন, 'ধারণা করা হচ্ছে নৌকার নিচে আরো মৃতদেহ আছে। তাদের বের করে আনতে হবে। নৌকাটি উল্টে যাওয়ার কারণ এখনো জানা যায়নি। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করে দেখবে।" তিনি পর্যটন মন্ত্রী পিএ মোহাম্মদ রিয়াজের সঙ্গে উদ্ধার কাজ দেখছেন।
ছবিঃ এ এন আই