বাংলাদেশঃ ঝাঁঝ বাড়ছে কাঁচা মরিচে, প্রতি কেজি ৪০০ টাকা

ভয়েস ৯,ঢাকা ব্যুরোঃ রাজধানীর হাতিরপুল বাজার থেকে সবজি কেনেন বেসরকারি চাকরিজীবী হাবিব হোসেন। বাসায় ফেরার পথে কাঁচা মরিচ কিনতে গিয়ে তিনি রীতিমতো আঁতকে ওঠেন। দোকানির সঙ্গে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে চার দোকান ঘুরে ৪০০ টাকা কেজিতে ২৫০ গ্রাম কাঁচা মরিচ কিনে বাসায় ফেরেন। কোরবানির ঈদ সামনে রেখে কাঁচা মরিচের রেকর্ড দাম বৃদ্ধি হয়েছে। 
সরবরাহ সংকটের অজুহাতে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৩৫০-৪০০ টাকায়, যা গত শুক্রবারে বিক্রি হয়েছে ২০০-২১০ টাকা করে। অর্থাৎ চার দিনের ব্যবধানে প্রতি কেজি মরিচের দাম দ্বিগুণ হয়েছে। গত সোমবার রাজধানীর কারওয়ান বাজার, হাতিরপুল ও কলাবাগানের কাঁচাবাজার ঘুরে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। এ পরিস্থিতিতে গত রবিবার ভারত থেকে কাঁচা মরিচ আমদানির অনুমতি দিয়েছে সরকার। এতে দীর্ঘ ১০ মাস পর কাঁচা মরিচ আমদানির অনুমতি মিলেছে। পাশাপাশি অনুমতি দেওয়া হয়েছে টমেটো আমদানিরও।
 হাকিমপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধির পাঠানো তথ্য অনুযায়ী আমদানির অনুমতির প্রথম দিনে এক ট্রাক মরিচ আমদানি হয়। এতে ৭ হাজার ৬০০ কেজি কাঁচা মরিচ দিনাজপুর স্থলবন্দর দিয়ে দেশে প্রবেশ করেছে। ঈদের ছুটিতে স্থলবন্দরের আমদানির শেষ কর্মদিবসে একই সমপরিমাণের আরও চার ট্রাক মরিচ আমদানি হবে। বাংলাদেশ ট্রেডিং করপোরেশনের (টিসিবি) তথ্য বলছে, গত বছরের জুন মাসে খুচরা ব্যবসায়ীরা ৪০-৬০ টাকায় কেজিপ্রতি কাঁচা মরিচ বিক্রি করেছে। 
খুচরা ও পাইকারি ব্যবসায়ীদের ভাষ্য মতে, আসন্ন কোরবানির ঈদে প্রচুর কাঁচা মরিচের ব্যবহার হবে। চাহিদার তুলনায় বাজারে সরবরাহ সংকট থাকায় মরিচের দাম বাড়ছে। পাইকারিতে প্রতি পাল্লা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ১৬০০-১৭০০ টাকায়। খুচরায় অন্যান্য খরচ মিলিয়ে কেজিতে ৩৫০-৪০০ টাকার নিচে বিক্রি করলে পোষায় না।
কারওয়ান বাজারের পাইকার শামিম জানান, সিলেটের বন্যা ও ভারী বৃষ্টিপাতের জন্য মরিচের উৎপাদন কমে আসায় বাজারে চাপ বেড়েছে। সে হিসেবে চাহিদার থেকে বাজারে কাঁচা মরিচের সরবরাহ কমেছে। তা ছাড়া বছরের অন্যান্য সময় যেমন চাহিদা থাকে, তেমনি কোরবানির সময় তা অনেক বেড়ে যায়। ফলে বাজারে প্রতি পাল্লা মরিচে ৬০০ টাকার বেশি বেড়েছে। কলাবাগান বাজারের এক সবজি ব্যবসায়ী বলেন, ১০ দিন আগে কাঁচা মরিচ বিক্রি করেছি ১৬০-১৮০ টাকা কেজি।
 বর্তমানে চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় মরিচের দাম বেড়েছে। প্রতি কেজি মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৪০০-৪১০ টাকায়। মরিচ বিক্রি করতে গিয়ে ক্রেতাদের সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডায় জড়াতে হচ্ছে। কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান জানান, বাজার ব্যবস্থার সঠিক তদারকি না থাকায় যে যেভাবে পারছে ব্যবসা করে যাচ্ছে। বিষয়গুলো নিয়ে আমরা বলে যাচ্ছি ও বিভিন্ন গণমাধ্যমেও প্রায় শিরোনাম হচ্ছে। কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। তাই বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলেও বাজারের স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরে আসবে বলে মনে হয় না।

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Top Post Ad

Below Post Ad