লখনৌঃ দীর্ঘ
২৪ বছর ধরে পলাতক এক ডাকাত ছেদা সিংকে
গ্রেফতার করেছে উত্তরপ্রদেশের পুলিশ। ধৃত ডাকাত লালারাম
গ্যাংয়ের প্রধান সদস্য। সে ছদ্মবেশ ধরে সাধু সেজে জীবন যাপন করছিল চিত্রকূটে। ধৃত ডাকাতের কাছ থেকে ব্রিজমোহন দাসের ছেলে রাম বালক দাসের নামে জাল
আধার কার্ড, প্যান কার্ড, ভোটার
আইডি কার্ড ও রেশন কার্ডও উদ্ধার করা হয়েছে।
রবিবার আরাইয়ার পুলিশ সুপার অভিষেক ভার্মা জানান, এক গোপন
সূত্রে খব্র পেয়ে আরাইয়া ও আয়ানা পুলিশ ওই সাধুর বাড়িতে হানা
দেয়। সেখান থেকে লালারাম গ্যাংয়ের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছেদা সিং
ওরফে ভাদৌনকে গ্রেপ্তার করে। ছেদা সিংকে ধরে দিতে পারলে
৫০ হাজার টাকা পুরস্কার দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয় ২০১৫ সালে।
অভিযুক্তের বয়স বর্তমানে ৬৯ বছর। গত শনিবার তিনি
তার গ্রামের ভাসানে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন। সঙ্গে সঙ্গে খবর জায় থানায়। পুলিশ এসে ছেদাকে
গ্রেপ্তার করে। পুলিশ সুপার অভিষেক ভার্মা জানিয়েছেন, ধৃত
অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আয়ানা থানা, মধ্যপ্রদেশ-সহ সংলগ্ন
জেলাগুলিতে ২৪টিরও বেশি মামলা রয়েছে। ধৃত ছেদা সিংহ ওরফে ছিদা পুলিশি জেরার মুখে জানিয়েছে, সে
লালারাম গ্যাংয়ের সক্রিয় সদস্য। এই গ্যাংয়ের সাথে মিলে মুক্তিপণ, অপহরণ
ও ডাকাতির ডজন ডজন ঘটনা ঘটিয়েছে সে।
১৯৯৮ সালে,আয়ানা এলাকার যশবন্তপুর
গ্রামের চারজনকে ওপহরণ করেছিল
ছেদার দল। যেখানে কিছু লোককে মুক্তিপণ দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল এবং
পরে
এনকাউন্টারের সময় পুলিশ একজন অপহরণকারীকে হত্যা করে। এই ঘটনার পর পালিয়ে যায়
ছেদা। তারপর, গত ১৫-২০ বছর ধরে, সে নাম এবং ঠিকানা পরিবর্তন করে চিত্রকূটে বাবা হিসাবে বাস করছিল। জানা
গেছে, অভিযুক্ত আস্তাকান্দে ফুলন দেবীর সাথে বাইহমাই ঘটনার প্রতিশোধ
নিতে গিয়ে লালারামকে সমর্থন করার সময় আস্তায় ১২ জনকে গুলি করার ঘটনায় জড়িত
ছিল।