সন্ধ্যা পর্যন্ত, ৪০০ জনের একটি দল ১৩ জন আহত সৈন্য এবং পাঁচজন বেসামরিক ব্যাক্তিকে ধ্বংসস্তূপের ভিতর থেকে উদ্ধার করেছে। জানা গেছে, এই দুর্যোগে নিহত সাত জন সেনার সকলেই টেরিটোরিয়াল আর্মির ১০৭ পদাতিক ব্যাটালিয়নের সদস্য ছিলেন। এদের জিরিবাম থেকে ইম্ফল পর্যন্ত সরঞ্জাম, শ্রমিক এবং রেললাইনের সুরক্ষার জন্য ঘটনাস্থলে মোতায়েন করা হয়েছিল।
যে ২৭ জন বেসামরিক নাগরিকের নিখোঁজ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে, তাদের মধ্যে তিনজন রেলওয়ে আধিকারিক, ১৭ জন নির্মাণ শ্রমিক, একজন রাঁধুনি এবং এক দম্পতি এবং তাদের ১৮ মাস বয়সী মেয়ে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, যখন ভূমিধসের ঘটনা ঘটে, তখন নিহত ও নিখোঁজদের অধিকাংশইঘুমিয়ে ছিলেন। অন্যদিকে, অনেকেই বলেছেন, এই ধরণের ভূমিধ্বসের ঘটনা এই এলাকায় এর আগে ঘটে নি।
উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেল জানিয়েছে, গত কয়েকদিন ধরে ভারী বৃষ্টিতে টুপুল রেল ইয়ার্ড সংলগ্ন পাহাড়ের মাটি আলগা হয়ে গিয়েছে।
কোহিমা-ভিত্তিক প্রতিরক্ষা পিআরও লেফটেন্যান্ট কর্নেল সুমিত কে শর্মা বলেন, "সারা রাত ধরে অনুসন্ধান অভিযান অব্যাহত থাকবে। ইতিমধ্যেই, মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিং, সেনাবাহিনীর ইস্টার্ন কমান্ডের জিওসি-ইন-সি লেফটেন্যান্ট জেনারেল আর পি কালিতা এবং স্পিয়ার কর্পসের জিওসি লেফটেন্যান্ট জেনারেল আর সি তিওয়ারি উদ্ধার কাজ খতিয়ে দেখতে ওই এলাকা পরিদর্শন করেছেন। অসামরিক প্রশাসন ভূমিধ্বসের কারণে সৃষ্ট বাঁধটি ভেঙে যাওয়ার সম্ভাবনার কারণে নীচের দিকে বসবাসকারী বেসামরিক নাগরিকদের সরিয়ে নেওয়ার জন্য সতর্ক করেছে।
No comments:
Post a Comment