চলে গেলেন পরিচালক তরুণ মজুমদার একটি যুগের অবসান - SANGBAD VOICE 9, Where Truth Meets News, Latest News From Bangladesh, India and other Countries

Home Top Ad

BREAKING NEWS

Monday, July 04, 2022

চলে গেলেন পরিচালক তরুণ মজুমদার একটি যুগের অবসান

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতাঃ চলে গেলেন পরিচালক তরুণ মুজুমদার। তরুণবাবু গত ১৫ দিন ধরে কলকাতার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। জুন মাসের ২১ তারিখে কিডনি ও ফুসফুসের সমস্যা নিয়ে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি হন তরুন মজুমদার। প্রায় ২০ বছর কিডনির সমস্যায় ভুগছিলেন ৯১ বছর বয়সী তরুন মজুমদার। কিডনির সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলেও ফুসফুসে সংক্রমণ ধরা পড়ে তাঁর। কিন্তু এরই মধ্যে চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল। রাইলস টিউবও খুলে দেওয়া হয়েছিল। কথা বলতে না পারলেও হাতে লিখে ভাব প্রকাশ করতে পারছিলেন। কিন্তু রববার আচমকাই ফের অবস্থার অবনতি হয় তাঁর।
উত্তমকুমার ও সুচিত্রা সেন অভিনীত চাওয়া পাওয়া (১৯৫৯) তরুণ মজুমদারের প্রথম পরিচালিত ছবি।তার পরিচালিত প্রথম জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত ছবি কাঁচের স্বর্গ (১৯৬২)। এরপরে পলাতক, নিমন্ত্রণ, সংসার সীমান্তে (১৯৭৫), গণদেবতা — এই সব ছবি সমালোচক মহলে বহুল প্রশংসিত হয়। তার পরিচালিত বালিকা বধূ (১৯৬৭), কুহেলী (১৯৭১), শ্রীমান পৃথ্বীরাজ (১৯৭৩), ফুলেশ্বরী (১৯৭৪), দাদার কীর্তি (১৯৮০), ভালোবাসা ভালোবাসা (১৯৮৫), পরশমণি (১৯৮৮) ও আপন আমার আপন (১৯৯০) বিপুল বাণিজ্যিক সাফল্য লাভ করে। তরুণবাবু চারটি জাতীয় পুরস্কার, সাতটি বিএফজেএ পুরস্কার, পাঁচটি ফিল্মফেয়ার পুরস্কার এবং একটি আনন্দলোক পুরস্কার লাভ করেন। ১৯৯০ সালে ভারত সরকার তাকে চতুর্থ সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত করে। তিনি শচীন মুখার্জী এবং দিলীপ মুখার্জির সাথে পর্দায় যাত্রিক নামে তার পরিচালক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন, ১৯৫৯ সালে বাংলা চলচ্চিত্র চাওওয়া পাওয়া-তে সুচিত্রা সেন ও উত্তম কুমার প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেন। তিনি ১৯৬২ সালে বাংলা চলচ্চিত্র কাঞ্চের স্বরগা-র জন্য প্রথম জাতীয় পুরস্কার লাভ করেন। তিনি পালাতাক (১৯৬৩), নিমান্ত্রান (১৯৭১), সানসার সিমান্তে (১৯৭৫) এবং গণদেবতা (১৯৭৮) এর মতো তার পরিচালিত উদ্যোগের জন্য ব্যাপক সমালোচনামূলক স্বীকৃতি অর্জন করেছিলেন। তিনি একটি জাতীয় পুরস্কার, একটি বিএফজেএ পুরস্কার এবং নিমান্তরান (১৯৭১) এর জন্য একটি ফিল্মফেয়ার পুরস্কার লাভ করেন। গণদেবতা (১৯৭৯) তাকে একটি জাতীয় পুরস্কার এবং একটি ফিল্মফেয়ার পুরস্কার এনে দেন। তিনি বালিকা বধু (১৯৬৭), কুহেলি (১৯৭১), শ্রীমান পৃথ্বীরাজ (১৯৭৩), ফুলেশ্বরী (১৯৭৪), দাদার কীর্তি (১৯৮০), ভালোবাসা ভালোবাসা (১৯৮৫) এবং আপান অমর আপান (১৯৯০) এর মতো ব্লকবাস্টার তৈরি করেছিলেন। তার স্ত্রী সন্ধ্যা রায় তার ২০টি চলচ্চিত্রে এবং তাপস পাল আটটিতে অভিনয় করেন। মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়, মহুয়া রায়চৌধুরী, অয়ন বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাপস পালের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয় রুপোলি পর্দায়।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad