নাম সি কোয়ের। একসময় ছিলেন চিনা সেনাবাহিনীতে। পরে সেনার চাকরি ছেড়ে ফিরে আসেন নিজের দেশ থাইল্যান্ডে। তখন চলছিল বিশ্বযুদ্ধ। জানা যায়, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় অনেক দিন ধরে খাওয়ার জন্য কিছু না পাওয়ায় মৃতদেহ খাওয়াটা অভ্যাসে পরিণত করে ফেলেছিলেন সি কোয়ের।সি কোয়ের এমন এক ব্যাক্তি ছিলেন, যার আতঙ্কে থহরি কম্পমান ছিল থাইল্যান্ড। তিনি ছিলেন এমন এক সিরিয়াল কিলার যার মৃতদেহ ৬০ বছর ধরে ব্যাঙ্ককের সিরিরাজ হাসপাতালের ফরেন্সিক মিউজিয়ামে কাচের কফিনে বন্দি করে রাখা হয়েছিল। ৬০ বছর পর মিউজিয়ামের লোকেরা সম্পূর্ণ রীতি মেনে এই ভয়ঙ্কর সিরিয়াল কিলারের শেষকৃত্য সম্পন্ন করেছিলেন এবং থাইল্যান্ডের লোকেরাও এর আত্মার জন্য প্রার্থনা করেছিলেন যাতে তিনি আর েই পৃথিবীতে আসতে না পারেন। ১৯৪৬ সালে তিনি থাইল্যান্ডে আসেন এবং মালি হিসেবে কাজ শুরু করেন। এর আগে তিনি চীনা সেনাবাহিনীর একজন সৈনিক ছিলেন। সেই সময়, খাওয়ার জন্য কিছুই না পাওয়ায় মৃতদেহ খাওয়াটা অভ্যাসে পরিণত করে ফেলেন। চিনা সেনার সৈনিক থাকাকালীন যুদ্ধে নিহতদের মাংস খেতে চেয়েছিলেন তিনি। সেনাবাহিনীর চাকরি ছেড়ে থাইল্যান্ডে চলে আসার পর নরমাংস খাওয়ার বদভ্যাস ছাড়তে পারেন নি তিনি। যখন তিনি কোথাও মানুষের মাংস খুঁজে পেতেন না, তখন ছোট বাচ্চাদের তার শিকার বানাতে শুরু করেছিলেন। তাদের ধরে এনে, মেরে শরীর থেকে অন্ত্র, হৃৎপিণ্ড ও যকৃত বের করে অত্যন্ত আগ্রহ সহকারে খেতেন তিনি। গল্প এভাবেই চলতে থাকে, ১৯৫৮ সালে একদিন ৮ বছরের একটি শিশুর লাশ পুড়িয়ে দেওয়ার সময় গ্রামবাসীরা তা দেখে ফেলে এবং পুলিশে অভিযোগ করেন। তদন্তে দেখা যায় যে সি কোয়ের একজন সিরিয়াল কিলার যিনি শিশুদের তার শিকার বানান। সি কায়ের বিরুদ্ধে সব অভিযোগ প্রমাণিত হলে ৩২ বছর বয়সে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয় এবং ১৯৫৯ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর ফায়ারিং স্কোয়াড সাইকো কিলারকে গুলি করে হত্যা করে।
এই প্রাক্তন সেনা শিশুদের হার্ট, লিভার খেতে ভালোবাসতেন
10:41:00 AM
0
Tags