দাদুর উপর প্রতিশোধঃ ফেভিকুইক দিয়ে দাদুর এক ৬ বছরের ছাত্রের মুখ আটকে খুন করে শৌচাগারে লুকিয়ে রেখেছিল এক শিক্ষকের নাতি - SANGBAD VOICE 9, Where Truth Meets News, Latest News From Bangladesh, India and other Countries

Home Top Ad

BREAKING NEWS

Thursday, July 07, 2022

দাদুর উপর প্রতিশোধঃ ফেভিকুইক দিয়ে দাদুর এক ৬ বছরের ছাত্রের মুখ আটকে খুন করে শৌচাগারে লুকিয়ে রেখেছিল এক শিক্ষকের নাতি

দেওরিয়াঃ দেওরিয়া জেলার লার থানা এলাকার হরখৌলি গ্রামের বাসিন্দা গোরখ যাদবের অপহৃত ছেলে সংস্কর যাদবের (৬) দেহ বৃহস্পতিবার সকালে এক কোচিং শিক্ষকের বাড়ির শৌচাগার থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। ওই কোচিং শিক্ষকের নাতি পুলিশকে সব কথা বলে দেয় বলে জানা গেছে। জানা গেছে, ওই শিশুটি যাতে কোনোরকম আওয়াজ করতে না পারে, খুন করার আগে গ্রামের দোকান থেকে ফেভিকুইক কিনেছিল সে। ফেভিকুইক দিয়ে তার মুখটা জুড়ে দিয়েছিল। হরখৌলি গ্রামের বাসিন্দা সংস্কর যাদব কোচিং পড়তে প্রতিদিনই গ্রামের নরসিংহ শর্মার বাড়িতে যেত। পরিবারের দাবি, বুধবার দুপুরে কোচিং পড়তে গিয়েছিলেন সংস্কর, কিন্তু বাড়ি ফেরেনি। এতে পরিবারের লোকজন আতঙ্কিত হয়ে তার খোঁজ শুরু করলেও তার সন্ধান পাওয়া যায়নি। বাবা কোচিং সেন্টারে গেলে খবর পান, বুধবার সংস্কর পড়তে আসেননি। এর পরেই পরিবারের লোকজন তাঁর খোঁজে নামেন। গভীর রাতে গ্রামেরই একটি মাঠে একটি চিঠি পাওয়া যায়। যার উপর লেখা ছিল, সন্তানের বাবা গোরখ যাদব পাঁচ লক্ষ টাকার ব্যবস্থা করুক, না হলে রেহাই পাবে না আপনার ছেলে। চিঠি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই পরিবার-সহ গোটা গ্রাম আতঙ্কের মধ্যে পড়ে যায়। পরিবারের লোকজন পুলিশকে ঘটনাটি জানান। এসপি সংকল্প শর্মা রাতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছিলেন। পুলিশের দল ওই ছাত্রের খোঁজে তল্লাশি চালাতে গিয়ে ওই কোচিং শিক্ষকের নাতিকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে বৃহস্পতিবার ভোরে সে সত্যিটা প্রকাশ করে। তিনি বলেন, নিখোঁজ ছাত্রের লাশ শিক্ষকের বাড়ির টয়লেটে আছে। জানা গেছে, অভিযুক্ত অরুণ শর্মা (১৮) PUBG খেলার নেশায় আসক্ত। এ জন্য সে প্রায়ই তার দাদু-ঠাকুমার কাছে টাকা চাইতো। এ নিয়ে দাদু ও ঠাকুমা তাকে প্রতিদিন বকাবকি করতেন। পুলিশ সূত্রে খবর, অপরাধ স্বীকার করতে গিয়ে সে পুলিশকে জানিয়েছে, দাদু ও ঠাকুমাকে জেলে পাঠানোর জন্য সে সংস্করকে খুন করে শৌচাগারে দেহ লুকিয়ে রেখেছিল। যাতে পরের দিন দেহ পাওয়া গেলে খুনের অভিযোগ ওঠে দাদা ও ঠাকুমার বিরুদ্ধে। ঘটনার দিন, যখন সংস্কর কোচিং করার জন্য বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন, তখন সে তাকে পথেই আটক করে। তার সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ কথা বলার পর অরুণ দোকান থেকে ফেভিকুইক কিনে মুখ আটকে দেয়, যার কারণে শিশুটি কোনো আওয়াজ করতে পারেনি। এরপর তাকে টয়লেটে নিয়ে গিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে সে

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad