বিয়ে বাড়িতে খুনঃ ১৫ বছরের ছেলে কাঁচি দিয়ে কুপিয়ে খুন করলো ১৩ বছরের ছেলেকে

মৃত রজত নিউজ ডেস্কঃ উত্তরপ্রদেশের মাদারক এলাকার হাজিপুর চৌহাট্টা গ্রামে এক বিয়েবাড়ির আনন্দ শেষপর্যন্ত শোকে পরিণত হলো। বিবাদের জেরে ১৩ বছরের এক কিশোর র্রজতকে কুপিয়ে খুন করে ১৫ বছরের এক কিশোর। গুরুতর আহত অবস্থায় রৌপকে মেডিকেল কলেজে নিয়ে গেলে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। এদিকে, আক্রমনকারী কিশোরটি ঘটনার পর পলাতক। পুলিশ একটি মামলা দায়ের করেছে এবং পরিবারের কয়েকজন সদস্যকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে। শুক্রবার ময়নাতদন্তের পর মৃত শিশুর দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়। জানা গেছে, ওই গ্রামের বাসিন্দা চন্দ্রপালের মেয়ের বিয়ে ছিল বৃহস্পতিবার। যেখানে ডিজে এবং জেনারেটরের কাজ করা জিতেন্দ্র নামে এক ব্যাক্তি, ডিজে লাগাতে বিয়েবাড়িতে গিয়েছিলেন। কাকার সঙ্গে বিয়ের অনুষ্ঠানে গিয়েছিল তার ১৩ বছরের ভাইপো রজতও। সাস্নি গেট সরাই হরনারায়ণের বাসিন্দা, চন্দ্রপালের আত্মীয়স্বজন এবং তাদের সন্তানরাও এই বিয়েতে উপস্থিত ছিলেন। গভীর রাতে একই আত্মীয়ের ১৫ বছরের কিশোরের সঙ্গে রজতের কোনও কিছু নিয়ে বচসা হয়। বাচ্চাদের ঝগড়ার কথা কেউ টের পায়নি, কিন্তু বিয়েতে আসা আত্মীয় এতটাই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে যে, কোথাও থেকে কাঁচি নিয়ে আসে এবং সুযোগ পেয়েই রজতের পেটে একের পর এক আঘাত করে। সিও ইগলাস রাঘবেন্দ্র সিং জানিয়েছেন, গোলমালে আহত রজতকে প্রথমে একটি নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়া হয় এবং তারপর সেখান থেকে জেএন মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়, যেখানে রাতেই রজতকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। এই খবর পেয়ে পৌঁছয় পুলিশও। এই ঘটনায় জিতেন্দ্রর দেওয়া অভিযোগের ভিত্তিতে চন্দ্রপালের আত্মীয়ের অপরাধী ছেলের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু হয়। তাকে অনেক খোঁজাখুঁজি করা হলেও কোথাও তার সন্ধান পাওয়া যায়নি। এ কারণে তার পরিবারের কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। বিকেলে ময়নাতদন্তের পর মৃতদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। ময়নাতদন্তে কাঁচির আক্রমণে লিভার ফেটে যাওয়া এবং অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে মৃত্যু হয়েছে বলে জানানো হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Top Post Ad

Below Post Ad