ইরানে সাধারণত হত্যার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। কিন্তু, সন্তান বা নাতি-নাতনিকে তাদের বাবা বা পিতামহ দ্বারা হত্যা একটি ব্যতিক্রম এবং সর্বোচ্চ দশ বছরের কারাদণ্ড বহন করে।
'আরিয়ানা ছিল শান্ত স্বভাবের মেয়ে, প্রতিদিন স্কুলে যেত। মেয়েটি খুব দয়ালু এবং যত্নশীল ছিল। তার সব বন্ধু এবং সহপাঠীরা তাকে ভালোবাসতো। আমি এখনওতাবিশ্বাস করতে পারছিন যে আরিয়ানা চলে গেছে।‘ তিনি বলেন, 'সরকার আপ্রাণ চেষ্টা করছে যাতে এই ঘটনা গণমাধ্যমে প্রকাশিত না হয়। আমি আশা করি, এই নিষ্পাপ মেয়েটির রক্ত অন্য অনেক মেয়ের মতো বৃথা যাবে না, যাদেরকে এভাবে হত্যা করা হয়েছে।‘
তেহরানঃ এক ইরানি বাবা তার ১৫ বছর বয়সী মেয়েকে একটি ছেলের সঙ্গে পার্কে দেখে গুলি করে হত্যা করেছেন । তবে তিনি দাবি করেছেন এটা একটা দুর্ঘটনা এবং 'তিনি কেবল তাকে ভয় দেখাতে চেয়েছিলেন'। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্ত ৪৩ বছর বয়সী মোহাম্মদ কাজেম লস্করি তার কিশোরী মেয়ে আরিয়ানা লস্করিকে (১৫) শটগান দিয়ে হত্যা করার কথা স্বীকার করেছেন। তিনি পুলিশকে বলেন, 'তর্কাতর্কির পর আরিয়ানা আমার মায়ের বাড়িতে যায় এবং আমি আমার রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারিনি। আমি তাকে ভয় দেখানোর জন্য আমার শটগান নিয়ে সেখানে গিয়েছিলাম। আমি আসলে আমার মেয়েকে হত্যা করতে চাইনি। আমি অনিচ্ছাকৃতভাবে গুলি চালিয়েছি।' মানবাধিকার কর্মী মাসিহ আলিনেজাদকে মৃতার এক আত্মীয় বলেন, 'আরিয়ানা ভালো মেয়ে ছিল, কিন্তু তার বাবা তার উপর অত্যাচার করতো। আলিয়ানা নিজের জীবনপথ বেছে নিতে চেয়েছিল , কিন্তু তার মতামত গ্রহণ করা তার বাবার পক্ষে কঠিন ছিল। ' তিনি আরও বলেন, 'আরিয়ানা ছিল শান্ত স্বভাবের মেয়ে, প্রতিদিন স্কুলে যেত। মেয়েটি খুব দয়ালু এবং যত্নশীল ছিল। তার সব বন্ধু এবং সহপাঠীরা তাকে ভালোবাসতো। আমি এখনওতাবিশ্বাস করতে পারছিন যে আরিয়ানা চলে গেছে।‘ তিনি বলেন, 'সরকার আপ্রাণ চেষ্টা করছে যাতে এই ঘটনা গণমাধ্যমে প্রকাশিত না হয়। আমি আশা করি, এই নিষ্পাপ মেয়েটির রক্ত অন্য অনেক মেয়ের মতো বৃথা যাবে না, যাদেরকে এভাবে হত্যা করা হয়েছে।‘
ইরানে সাধারণত হত্যার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। কিন্তু, সন্তান বা নাতি-নাতনিকে তাদের বাবা বা পিতামহ দ্বারা হত্যা একটি ব্যতিক্রম এবং সর্বোচ্চ দশ বছরের কারাদণ্ড বহন করে। ইরানে ১৫ থেকে ১৮ শতাংশ হত্যাকাণ্ড তথাকথিত অনার কিলিং হয়। ৬২ শতাংশ পর্যন্ত নারীকে হত্যা করা হয় পরিবারের কোনো সদস্যের দ্বারা। এক প্রতিবেশী স্থানীয় গণমাধ্যমকে বলেন, মোহাম্মদ মাদকাসক্ত ছিলেন এবং তার স্ত্রীকে তালাক দিয়েছিলেন। তিনি আরিয়ানা এবং তার বোনের সঙ্গে থাকতেন, তাকে তিনি হত্যার হুমকিও দিয়েছিলেন বলে জানা গেছে।
No comments:
Post a Comment