কিন্তু তার এই বোধোদয় কিংবা স্বীকারোক্তি অনেক প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। স্বভাবতইঃ উত্তর খুঁজতে গিয়ে বেশ কিছু সন্দেহের তীর এদিক-সেদিক ছুটোছুটি করছে। যদিও সেই তীর এখনও লক্ষ্যে বিদ্ধ হয়নি, তাই বলা যাচ্ছে না, এই টাকার প্রকৃত মালিক কে? তবে, পার্থবাবুর এই “ আমার টাকা নয়” কে নিয়ে তৃণমূল যেমন তাদের প্রতিক্রিয়া জানাতে শুরু করেছে, ঠিক তেমনই বিরোধী পক্ষ এটাকে আর একটা নতুন ইস্যু হিসাবে দেখতে শুরু করেছে। অনেক বিরোধী দল সংবাদমাধ্যমে বলেছেন, এত টাকা পার্থবাবুর হতেই পারে না। উনি ঠিক বলেছেন, এই টাকার অনেক অংশীদার আছে। অনেকে বলেছেন, সবাই জানেন, টাকা পার্থবাবুর নয়, হয়ত, এই টাকার আসল মালিক ছিলেন হাজার হাজার চাকরি-প্রার্থীরা।
কাজেই পার্থবাবুর এই নতুন সংলাপ রাজ্য-রাজনীতিতে আবার বান ডেকে এনেছে। অনেককেই সন্দেহের আতশ কাঁচের নীচে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। অনেকে মনে করছেন, এতদিন পর হঠাৎ পার্থ বাবু এই কথা বললেন কেন? যেদিন গ্রেপ্তার হন, সেদিনই তো জানিয়ে দিতে পারতেন। কেন সেদিন না জানিয়ে আজ হঠাৎ এই কথা বললেন? তবে কি কারো কথায় তার এই বোধোদয়? নিজেকে বাঁচানোর চেষ্টা, না কি জলকে আর একটু গুলিয়ে দেওয়া? অনেকে বলেছেন, তার এই কথাগুলির মাধ্যমে তিনি অন্য কারো দিকে ইঙ্গিত করতে চেয়েছেন। কিন্তু কে তিনি বা তারা? টাকা আজ আছে, কাল অন্য জায়গায় চলে যাবে, কিন্তু ফেলে রেখে যাবে সেই প্রশ্ন, টাকা এলো কোথা থেকে, আর ফ্ল্যাটেই বা ঢুকলো কীভাবে?