বৃহস্পতিবার সকালে শ্রীবর্ধন এলাকার হরিহরেশ্বর সমুদ্র সৈকতের কাছে একটি পরিত্যক্ত স্পিড বোটকে সমুদ্রে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। স্থানীয়রা সন্দেহজনক কিছু দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়। স্থানীয় পুলিশ ও তহসিলদার যখন নৌকাটির কাছে যান, তখন তারা একটি বাক্স দেখতে পান, যাতে তিনটি একে-৪৭ রাইফেল এবং দুই শতাধিক তাজা কার্তুজ পাওয়া যায়। এই তথ্যটি তৎক্ষণাৎ রায়গড়ের জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এবং অন্যান্য উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দেওয়া হয়েছিল। ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনীও খবর পেয়ে নৌকার রেজিস্ট্রেশন প্লেটের মাধ্যমে তল্লাশি শুরু করে উপকূলরক্ষী বাহিনী।
শ্রীবর্ধন মুম্বাইয়ের পার্শ্ববর্তী রায়গড় জেলার একটি ছোট বন্দর। এটি সাধারণত স্থানীয় জেলেদের দ্বারা ব্যবহৃত হয়। কিন্তু এর আগেও এটি অস্ত্র ও বিস্ফোরকের জন্য বিখ্যাত। প্রায় ৩০ বছর আগে, ১৯৯৩ সালের ১২ ই মার্চ, মুম্বাইয়ের ধারাবাহিক বিস্ফোরণের জন্য আরডিএক্স এই বন্দরে অবতরণ করেছিল।
ফড়ণবীস জানিয়েছেন, নৌকাটি এক অস্ট্রেলীয় মহিলার। তার স্বামী তার ক্যাপ্টেন। ২০২২ সালের ২৬ জুন মাস্কাট থেকে ইউরোপে যাওয়ার সময় স্পিড বোটের ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়। এরপর নৌকার লোকজন সাহায্যের জন্য অনুরোধ করেন। কোরিয়ান নৌবাহিনীর একটি জাহাজ, যা কাছাকাছি যাচ্ছিল, একটি জরুরী অবস্থায় এই স্পিড বোটে থাকা লোকদের সাহায্য করেছিল এবং তাদের নিরাপদে সরিয়ে নিয়েছিল। কিন্তু তারপর সমুদ্রে জোয়ারের পরিস্থিতি বেশি থাকায় এই নৌকাকে তীরে টেনে আনা যায়নি, জোয়ারের সময় এই নৌকাটি ওমান উপসাগর থেকে মুম্বইয়ের কাছে শ্রীবর্ধনে প্চলে আসে। ফড়নবীশের মতে, বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। তা সত্ত্বেও মুম্বই পুলিশ হাই অ্যালার্টে রয়েছে এবং মুম্বই ও রায়গড়ে পুলিশি নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
তিনি জানান, নৌকা থেকে ৩টি একে-৪৭ রাইফেল উদ্ধার করা হয়েছে।জোয়ারের কারণে নৌকাটি কোঙ্কন উপকূলের দিকে চলে আসে। কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলিকে এ ব্যাপারে জানানো হয়েছে। এটিএসও এ বিষয়ে কাজ করছে। প্রয়োজনে অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করা হবে। অন্যদিকে রায়গড়ের বিধায়ক অদিতি তাতকারে জানিয়েছেন, প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, রায়গড়ের শ্রীবর্ধনের হরিহরেশ্বর ও ভরদাখোলে অস্ত্র ও নথি-সহ কয়েকটি নৌকা পাওয়া গিয়েছে। তদন্ত চলছে, মুখ্যমন্ত্রীর কাছে দাবি জানিয়েছি, অবিলম্বে এটিএস বা রাজ্য সংস্থার বিশেষ দল নিয়োগ করা হোক।