মূলতঃ কিছু ‘নৈতিক জ্ঞানহীন’, লোভী মানুষ তথা নেতা-নেত্রীদের জন্য দল কেন সামগ্রিকভাবে দোষী হবে? এটাই এখন দলের অন্দরের কথা। আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে তাই ঢেলে সাজানো হবে দলকে, কর্মীদের মনোবল চাঙ্গা করা ও সাধারণ মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনার জন্য দল যে এই সমস্ত দূর্নীতিবাজদের ক্ষমা করবে না , সেটা শুধু দলনেত্রী নয়, দলের ্সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক ব্যানার্জী কড়া ভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন। এমনকি কর্মী সম্মেলনেও তিনি দলের সব কর্মীদের উদ্দেশ্যে এই বার্তা দিয়েছেন।
এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে তাই টিকিট পাওয়া যে কঠিন হবে অনেকের, সেটা বলাই বাহুল্য।
আজ স্বয়ং দলনেত্রী বলেছেন, সিস্টেমের সব দূর্নীতিকে হয়ত এত তাড়াতাড়ি বিলোপ করা সম্ভব হবে না, এর জন্য দরকার মানুষের নৈতিক পরিবর্তন, লোভ ত্যাগ করা।
জানা গেছে, দলের মধ্যে যে এই খবরটা নেই তা নয়। কারণ, গ্রাম-পঞ্চায়েত স্তরে বা রাজ্যস্তরে যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠছে বা ধরা পড়ছে, তার বাইরে রয়ে গেছে বহু লোভী মানুষ। এই সমস্ত মানুষদের চিহ্ণিত করা হবে। অন্ততঃ দলকে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে শুদ্ধ করতে হলে সেই ধান্দাবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। দলের অন্দরে বেশ কিছু প্রবীণ ও নবীন নেতার বক্তব্যও তাই।
আজ শিক্ষক দিবসে নৈতিক চরিত্র গঠনের ডাক দিয়ে তৃণমূল সুপ্রীমো বলেন, কেউ কেউ সৎ নয় বলে সকলকে খারাপ বলে দাগিয়ে দেওয়া ঠিক নয়। ভুল শোধরানোর চেষ্টা করছি। তিনি বলেন, কেউ কেউ সঙ্গদোষে নষ্ট হয়। আসলে নৈতিক চরিত্র গঠন বেশি জরুরী। হাতের সবকটা আঙ্গুল সমান নয়। তবে কয়েকজন খারাপ মানুষের জন্য দল কেন ভুগবে?